ওটস এমন একটি খাবার যা যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান এটিকে সুপারফুড বলে আখ্যায়িত করেছেন। শরীরে সব ধরনের পুষ্টি যোগানো থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত এই শস্যের জুড়ি নেই।সহজপাচ্য, ফাইবার সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এর বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি বয়স্ক মানুষদের পাশাপাশি শিশুরাও খেতে পারে। এটাও পাওয়া গেছে যে অন্যান্য খাবারের তুলনায় ওটস হালকা এবং অ্যালার্জিহীন এবং শিশুদের জন্য আদর্শ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওটস শিশুদের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি খাবার। এমনিতেই শিশুরা খেতে চায় না। তাই পরিমাণমতো ওটস খাওয়াতে পারলে অনেক ধরণের পুষ্টি একবারে দেওয়া যাবে ওটসের মাধ্যমে। তবে অনেক শিশুর খাবারে অ্যালার্জির সমস্যা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে সবচেয়ে ভালো।
শিশুদের জন্য ওটসের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য প্রচুর পরিমাণে শক্তির দরকার হয়। আর ১০০ গ্রাম ওটসে রয়েছে ৪০০ কিলো ক্যালোরি শক্তি। এই শক্তিই শিশুকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাবে। শিশুর বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের জন্য প্রয়োজনীয়।
- হাড় গঠনে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সহায়তা করে, আয়রন দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং পটাসিয়াম ও সোডিয়াম শরীরে স্নায়বিক কাজগুলোকে সহায়তা করে গেছে। ম্যাগনেসিয়াম শক্তি উৎপাদন করতে সহায়তা করে এবং শিশুর মধ্যে দাঁতের ও হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
- অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলো শরীরে ফ্রি রেডিকেল দ্বারা আক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে এবং এটি শিশুর ডায়েটের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। খনিজ ও ভিটামিনের পাশাপাশি ওটসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চমাত্রায় থাকে যা শিশুর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেসব শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় প্রায়ই ভোগে, তাদের জন্য ওটস খুবই উপকারী।
- এটিতে দুই ধরনের ফাইবারই রয়েছে। এই কারণে ওটস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করা যায়। এ কারণে চিকিৎসকরা শিশুকে ওটস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
- ওটসে রয়েছে বিটা-গ্লুকান যা শরীরের ইমিউন সেল সিস্টেম তৈরিতে সাহায্য করে। এইভাবে শিশু যদি নিয়মিত ওটস খায় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং শিশুর বৃদ্ধিতে সুবিধা হয়।