সদ্য খাবার খেতে শিখেছে খুদে। দুধ ছাড়াও এবার একটু একটু করে অন্য খাবারের স্বাদ পেতে শুরু করেছে। কিন্তু এই অবস্থায় কোন খাবার আপনার শিশুর জন্য উপকারী আর কোনটায় তৈরি হতে পারে সমস্যা- এই নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। এই সময় একরত্তিকে এমন খাবার দেওয়া উচিত যাতে তার শরীরের সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং সহজপাচ্য। এই ক্ষেত্রে আপনি একরত্তিকে আপেল সেদ্ধ খাওয়াতে পারেন।
কথায় রয়েছে, রোজ একটা করে আপেল খেলে ডাক্তারের থেকে দূরে থাকা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথাটা ব্যতিক্রম নয়। এবার জেনে নিন বাচ্চাদের আপেল খাওয়ানোর উপকারিতা।
- আপেল কার্বোহাইড্রেট পূর্ণ যা শিশুদের প্রতিদিন সক্রিয় থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়।
- আপেল ভিটামিন সি, ফাইবার এবং ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ।
- আপেলে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক।
- এই ফলটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলি দৃষ্টিশক্তির জন্য ভাল এবং হাঁপানির লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
- পেকটিন হল এক রকমের ফাইবার যা আপেলে পাওয়া যায়। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
- আপেল শরীরে চিনির মাত্রা ভারসাম্য রাখতে পারে এবং ডায়াবেটিস দূরে রাখতে সাহায্য করে।
- আপেলে থাকা ভিটামিন সি টিস্যু মেরামত এবং কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। হাড় মজবুত করার পাশাপাশি, ভিটামিন সি ক্ষত সারাতে এবং পিত্তথলির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- আপেলের ত্বকে পাওয়া Quercetin এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাব রয়েছে যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করতে পারে।
আপেলের পিউরি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
একটি আপেল, দু’কাপ মতো জল, সামান্য দুধ।
আপেলের পিউরি তৈরি করার পদ্ধতি:
আপেলটা ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। আপেলটা ছোট ছোট কিউব আকারে কেটে নিন। এবার একটা প্রেসার কুকার নিন। এতে দু’কাপ মতো জল দিন। এতে আপেলের টুকরোগুলো দিয়ে ২০ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। খেয়াল রাখুন আপেলটা যেন ভাল করে সেদ্ধ হয়। আপেল নরম না হলে শিশুর খেতে সমস্যা হতে পারে। আপেল সেদ্ধ হয়ে গেলে আপেলটা বের করে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
এবার ব্লেন্ডারে আপেলের টুকরোগুলো দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এতে সামান্য দুধ মিশিয়ে মিশ্রণটিকে ঘন করুন। ব্যস তৈরি আপনার আপেলের পিউরি।