আমাদের সকলের শরীরেই রয়েছে ইউরিক অ্যাসিড। তবে কোনও কারণে যদি এর মাত্রা স্বাভাবিকের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়, তখন পিছু নিতে পারে গাউট আর্থ্রাইটিস! জমে ইউরিক অ্যাসিড। যার দরুন জায়গাটা ফুলে যায়। হাঁটচলার সময় খুব ব্যথা হয়।
এমন সমস্যায় ভুক্তভোগীদের সুস্থ থাকতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। এর পাশাপাশি আপনারা ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি পানীয়ের উপর। তাতেই ইউরিক অ্যাসিড লেভেলকে এক ধাক্কায় অনেকটাই নীচের দিকে নামিয়ে ফেলতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণত, ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং কিডনির মধ্য দিয়ে যায়, প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। যাইহোক, যদি আপনার শরীর অত্যধিক ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে বা দক্ষতার সাথে এটি নির্মূল না করে, তবে এটি স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে। রক্তে প্রচুর পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে হাইপারুরিসেমিয়া হল চিকিৎসা শব্দ।
- ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্য সেরার সেরা একটা পানীয় হলো লেবু জল। কারণ, এতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। আর এই ভিটামিন শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে ঠেলে বের করে দেয়। যার দরুন কমে গাউটের ব্যথা এবং ফোলা। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই পানীয়ে চুমুক দিলে বাড়ে ইমিউনিটি। তাই চেষ্টা করুন রোজ লেবু জলে চুমুক দেওয়ার। তাতেই হাতেনাতে উপকার মিলবে।
- উপকার পেতে চাইলে খেতে হবে ব্ল্যাক কফি। এই পানীয়ে চিনি এবং দুধ মিশিয়ে খেলে কোনও উপকারই পাবেন না। তাই এই বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখুন।
- সেরার সেরা একটি পানীয় হলো আদা চা। এতে রয়েছে উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ব্যথা-বেদনা কমানোর কাজে একাই একশো। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই পানীয়ে চুমুক দিলে ইউরিক অ্যাসিড লেভেল কিছুটা হলেও কমে যাবে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত এই চা খেতে ভুলবেন না যেন!
- চেরির জুসও কম যায় না । এই ফলে উপস্থিত বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এই উপাদান শরীরের প্রদাহও এক ধাক্কায় অনেকটাই কমায়। যার দরুন ব্যথা বেদনা থেকে অনায়াসে মেলে মুক্তি। তাই পকেটের জোর থাকলে নিয়মিত চেরির জুস খেতে ভুলবেন না যেন!