Everything You Need To Know About Surrogacy

শুধু তারকারা নন,সারোগেসির মাধ্যমে মা হতে পারবেন আপনিও! জানুন কী এই পদ্ধতি

যে মহিলারা সন্তানধারণ করতে পারেন না, তাঁদের হয়ে অন্য কেউ গর্ভে সন্তানধারণ করে দিলে, তাকে বলা হয় সারোগেসি।(Surrogacy) কিন্তু বিষয়টি মোটেই সহজ সরল নয়। এতে যেমন রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা, তেমনই রয়েছে নানা আইনি বিষয়ও। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, এই সারোগেসির বিষয়টি কী(surrogacy process)।

ট্র্যাডিশনাল সারোগেসি (Traditional Surrogacy)

এই পদ্ধতিতে সারোগেট মায়ের দেহে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সন্তানের বাবার স্পার্ম প্রবেশ করানো হয়৷ এর পর নির্দিষ্ট সময়ে সারোগেট মা সন্তানের জন্ম দেন৷ তার পর নবজাতককে বড় করে তোলেন তার আইনি বাবা মা৷ এই পদ্ধতিতে সারোগেট মা-ই শিশুর বায়োলজিক্যাল মাদার৷ কারণ তাঁর ডিম্বাণুই নিষিক্ত হয়৷ এই পদ্ধতিতে কিছু ক্ষেত্রে ডোনর স্পার্ম-এরও সন্ধান করা হয়৷ সেক্ষেত্রে শিশুর বায়োলজিক্যাল বাবা মা দুজনেই অপরিচিত৷ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুকে বড় করে তার আইনত বাবা মা৷ অর্থাৎ যে দম্পতির উদ্যোগে ও ব্যয়ে সারোগেসি করানো হয়েছে৷

জেস্টেশনাল সারোগেসি (Gestational Surrogacy)-

এ ক্ষেত্রে যাঁদের উদ্যোগে ও ব্যয়ে সারোগেসি করানো হচ্ছে, সেই দম্পতির ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে নিষিক্ত করা হয়৷ এর পর ভ্রূণটিকে জেস্টেশনাল সারোগেট মাদারের ইউটেরাসে প্রবেশ করানো হয়৷ এই পদ্ধতিতে সারোগেট মাদারের সঙ্গে ভূমিষ্ঠ সন্তানের কোনও বায়োলজিক্যাল সম্পর্ক থাকে না৷ কারণ ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দু’টির উৎসই শিশুর আইনি বাবা মা৷ সারোগেট মাদার শুধু সন্তান বহন ও প্রসব করেন৷

আরও পড়ুন:

জটিলতা (Challenges in Surrogacy)-

সারোগেসিতে সন্তানলাভের জন্য সরকার নির্ধারিত নিয়ম পালন করতে হয়৷ সারোগেসি করাতে ইচ্ছুক বাবা মা এবং সারোগেট মাদারকে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হয়, যাতে পরবর্তীতে সন্তানের আইনি অধিকার নিয়ে কোনও জটিলতা দেখা না দেয়৷ অন্যান্য প্রেগন্যান্সির মতো সারোগেসিতেও চিকিৎসাগত ঝুঁকি থাকে৷

ভারতে সারোগেসি সংক্রান্ত যে সব নিয়ম মনে রাখতে হবে

১) টাকার বিনিময়ে কারও সন্তানধারণ করার পদ্ধতিকে ‘বাণিজ্যিক সারোগেসি’ বলে(surrogacy cost)। এটি নানা দেশেই প্রচলিত। তবে ভারতে নিষিদ্ধ(surrogacy in india)।

২) এ দেশে সারোগেট মা হতে পারেন সন্তানের পিতা-মাতার খুব নিকট কোনও আত্মীয়।

৩) যেহেতু বণিজ্যিক সারোগেসি নিষিদ্ধ, তাই সন্তানের বাবা-মা সারোগেট মায়ের চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারেন মাত্র। তা ছাড়া আর কোনও টাকা-পয়সার আদানপ্রদান হবে না।

৪) সারোগেট মায়ের বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে।

৫) এক বারের বেশি সারোগেট সন্তান ধারণ করতে পারবেন না কেউ।

৬) কেউ যদি বাণিজ্যিক সারোগেসির পথ বেছে নেন, তবে তাঁদের পাঁচ বছর জেল এবং পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। একই কাজ এক বারের বেশি করলে ১০ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে।

৭) ইসলাম এখনও সারোগেসিকে বৈধ বলে খোলা ছুট দেয়নি(surrogacy in islam)।

আরও পড়ুন: