ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। গাঁটে ব্যথা, জয়েন্টের ফোলাভাব, কিডনিতে স্টোনের মতো উপসর্গগুলোই জানান দেয় যে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরের বর্জ্য পদার্থ। বিপাকীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে পিউরিন ভেঙে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিংবা ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের হতে না পারলেই সমস্যা তৈরি হয়।
প্রস্রাবের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড বের হতে না পারলে সেগুলো জয়েন্টে, কিডনিতে বা লিভারে জমা হতে শুরু করে। আর তার সঙ্গে শুরু হয় গাউটের সমস্যা। গাঁটে ব্যথা, গোড়ালি ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: Energy Drinks : সবসময় ক্লান্ত লাগে ? ভরপুর এনার্জি দিতে পারে এই ৪ পানীয়
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনির উপরও প্রভাব পড়ে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব হয়, দুর্গন্ধ ছাড়ে। অবস্থার অবনতি হলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে।ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া-দাওয়ার দিকে প্রথম থেকে নজর দিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খান।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার থেকে দূরে থাকুন। রেড মিট, অ্যালকোহল, মিষ্টি পানীয়, ক্যান্ডি, ডেজার্ট, মাখন, ক্রিম, আইসক্রিম এবং নারকেল তেলের মতো খাবার থেকে দূরে থাকুন। এমনকী সামুদ্রিক মাছ যেমন শেলফিশ, অ্যাঙ্কোভিস এবং টুনার মতো মাছও খাওয়া উচিত নয়। চেরি ফলেও পিউরিন রয়েছে। টমেটো, মুসুরের ডালেও পিউরিন রয়েছে। তবে এগুলো সীমিত পরিমাণ খেলে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না শরীরে।
আরও পড়ুন: Banana: সকালে খালি পেটে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন করিনা কাপুরের পুষ্টিবিদ! কিন্তু কেন