The News Nest :
শীতে চুলের রুক্ষ হয়ে যাওয়ার সমস্যা নতুন নয়। শীতে এমনিতেই ঠান্ডা লাগার ভয়ে শ্যাম্পু করার মাত্রা কমে যায়। ফলে মাথার ত্বকে জমে থাকে বাড়তি তেল। খুশকি তাই শীতের অন্যতম সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আমাদের দেশে শীতকালে ধুলাবালু বেশি থাকার কারণে চুলে খুশকি হয় বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুশকির প্রভাবে মাথায় প্রচণ্ড চুলকানি ছাড়াও চুল নিয়মিত পড়তে পারে। খুশকি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। খুশকির জন্য যদি ব্যক্তিবিশেষে রোগগুলো নির্ণয় করে চিকিৎসা করা হয়, তবে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। যে কারণেই খুশকি হোক না কেন, প্রথমে সেটা দূর করতে হবে। তবে খুশকি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকাটা সবচেয়ে ভালো। কথায় বলে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো।
খুশকি দূর করার ১০টি টিপস
- আমলকী ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।
- দুই টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। তারপর এক কাপ জলে এক চা–চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রস মেশানো জল দিয়ে পুরো চুল ধুয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। খুশকি দূর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।
- তিন থেকে পাঁচ টেবিল চামচ নারকেলের তেল নিয়ে মাথার ত্বকে ভালোমতো লাগান। এক ঘণ্টা পর মাথা ধুয়ে ফেলুন এবং তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
- প্রথমে জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন। এরপর মাথার ত্বকে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা ঘষে নিন। তারপর চুল ধুয়ে নিন। তবে বেকিং সোডা ব্যবহারের পর চুলে শ্যাম্পু লাগাবেন না। খুশকির জন্য দায়ী ছত্রাকগুলোর ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে বেকিং সোডা। ফলে প্রাথমিকভাবে চুলে একটু শুষ্ক ভাব দেখা দিতে পারে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ধীরে ধীরে চুল আবার আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
- সপ্তাহে অন্তত দুবার নারকেলের তেল হালকা গরম করে চুলে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এরপর চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিতে হবে। তাহলে চুলের খুশকি দূর হবে।
- যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁদের নিয়মিত অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।
- মৌরি এবং সমপরিমাণ জল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন ভালোমতো বেটে মাথার ত্বকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি ভালো কাজ করে।
- শীতকালে মাথার শুষ্ক ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায় এবং খুশকি বেড়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দেড় টেবিল চামচ মেথি ও দেড় টেবিল চামচ শুকনো আমলকী এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর বেটে ফেলুন। এরপর এর সঙ্গে মেশান দুই-তিন চা-চামচ মধু। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি যেমন দূর হবে, তেমনি চুলে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে উপাদানগুলো সঠিক পরিমাণে নেওয়া খুব জরুরি।
- সাধারণ নারকেলের তেলের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে কয়েক দিন বোতলে রেখে দিন। নিয়মিত এই মেথি মেশানো তেল মাখুন মাথায়। রাতে মেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি থেকে রেহাই পাবেন। এ ছাড়া মাথার চুল ও ত্বক দুই–ই ভালো থাকবে।
- দুই টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার এক টেবিল চামচ লেবুর রস নিয়ে এক কাপ পানিতে মেশান। লেবুর রস মেশানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। খুশকি না কমা পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবে লেবু চিকিৎসা চালিয়ে দেখতে পারেন।