বাঙালি মাত্রেই মাছপ্রেমী। সারা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক বাঙালি হলেই মাছের প্রতি আলাদা আগ্রহ থাকবেই। বিশেষ করে আমিষভোজী বাঙালি হলে তো মাছ দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অপরিহার্য। বিভিন্ন রকমের মাছের নানা ধরনের রান্না হয়। সেই সব রান্নার স্বাদ অতুলনীয়। কেবল মাত্র সুস্বাদু খাদ্যবস্তু হিসাবে নয়। মাছের গুণাগুণও অনেক।
প্রশ্ন হল, সপ্তাহে কতদিন মাছ খাওয়া উচিত? সম্প্রতি পুষ্টিবিজ্ঞানীরা এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন!
তাঁদের মতে, সপ্তাহে অন্তত করে তিন দিন ৭০-৭৫ গ্রাম মাছ খাওয়া উচিত। কারন এতে আপনি প্রোটিনের পাশাপাশি পাচ্ছেন- ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম ও আয়োডিন। তাছাড়া কিডনির সমস্যা, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা না থাকলে মাছ খেতে পারেন।
এদিকে বিভিন্ন গবেষণার কল্যাণে জানা যায়, যাদের স্মৃতিশক্তি প্রখর, তাদের নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, মস্তিষ্কসহ দেহের বিভিন্ন কোষপ্রাচীর বা সেল মেম ব্রেনের গঠনে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: Monkey Pox: ছড়াতে পারে যৌন মিলনেও, জেনে নিন মাঙ্কি পক্স প্রসঙ্গে ৫টি অজানা তথ্য
গবেষণায় আর জানা গেছে, মস্তিষ্কের নিউরন কোষ সুগঠিত ও কর্মক্ষম রাখে, যারা সপ্তাহে তিনদিন বা তারও বেশি দিন মাছ খেয়ে থাকেন।
বিশেষ করে ইলিশ, ম্যাকারেল, ভেটকি, পমফ্রেট, বোয়াল, কাতলা, রুই, চিতল মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, আয়োডিন, ভিটামিন-ডি, ফসফরাসসহ নানা ধরনের খনিজ উপাদান মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
তবে হ্যাঁ, কেউ কেউ যদি সপ্তাহে তিনদিনের বেশি সময় মাছ খেয়ে থাকেন তাহলে সেটিও স্বাস্থ্যর পক্ষে ভাল। তাছাড়া পুষ্টিবিদরা প্রো-ব্রেন খাবারের তালিকায় মাছ’কে সর্বাগ্রে রেখেছেন।
শিশুদের স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য এবং বৃদ্ধদের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতি বিলোপতার হাত থেকে রক্ষার জন্য সপ্তাহে তিনদিন মাছ খাওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Outdoor Ticket: এবার বাড়ি থেকেই বুক করুন যেকোনো হাসপাতালের আউটডোর টিকিট