দাঁত ভাল রাখতে ভরসা দাঁত মাজার ব্রাশ। কিন্তু দাঁত মাজার ব্রাশ ভাল থাকবে কোন উপায়ে, এ কথা ভাবেন না অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, দাঁতের সঠিক যত্নের জন্য দাঁত মাজার ব্রাশের যত্ন নেওয়াও সমান জরুরি। অধিকাংশ মানুষের জন্যই স্রেফ জল দিয়ে টুথব্রাশ সাফ করাই যথেষ্ট, কারও কারও আবার দরকার একটু অতিরিক্ত যত্ন। একনজরে দেখা যাক কোন কোন উপায়ে টুথব্রাশ পরিষ্কার রাখা যায়।
- অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের ব্রাশ একই পাত্রে সাজানো থাকে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, এই ভাবে ব্রাশ রাখা মোটেও সু-অভ্যাস নয়। বরং এতে এক জনের ব্রাশ থেকে অন্য জনের ব্রাশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। যদি এক পাত্রেই রাখতে হয়, তবে তাতে ঢাকনা পরিয়ে রাখতে হবে।
- পাশাপাশি বাথরুমে ব্রাশ রাখা চলবে না একেবারেই। শৌচাগারের স্যাঁতস্যাঁতে ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় রোগজীবাণুর বিস্তার অনেক সহজ হয়। শৌচাগারে রাখা ব্রাশে রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও তাই অনেকটাই বেশি।
আরও পড়ুন: Outdoor Ticket: এবার বাড়ি থেকেই বুক করুন যেকোনো হাসপাতালের আউটডোর টিকিট
- সাধারণ জলে না ধুয়ে যদি ব্যবহার করার আগে ও পরে উষ্ণ জলে টুথব্রাশের আগা ধুয়ে নেওয়া যায়, তবে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমে অনেকটাই। যদি গরম জলের ব্যবস্থা না থাকে, তবে যে কোনও মাউথ ওয়াশে মিনিট দুয়েক চুবিয়ে রাখলেও জীবাণুমুক্ত হবে ব্রাশ।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস অন্তর নতুন ব্রাশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। খেয়াল রাখা দরকার ব্রাশের অগ্রভাগ যেন ঠিক থাকে।কারণ এটি বাঁকা হয়ে গেলে ঠিক ভাবে কাজ করে না।
- দাঁতের মধ্যে লেগে থাকা খাদ্যবস্তু বা ব্যকটিরিয়া খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয় ইলেকট্রিক ব্রাশের সাহায্যে। এই ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা দাঁত ও মাড়ির পক্ষে খুব স্বাস্থ্যকর।
আরও পড়ুন: Phone in Toilet: টয়লেটে ফোন নিয়ে ঢোকেন! হতে পারে মারাত্মক সংক্রমণ