সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও (Insomnia) অত্যন্ত জরুরি। অনিদ্রা ডেকে আনে হৃদ্রোগ, স্নায়ুর দুর্বলতা, স্থূলতার মতো আরও অনেক শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। ঠিক করে না ঘুমোলে শুধু শরীরে নয়, তার প্রভাব পড়ে মনেও। অনেক দিন ধরে এমন চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে ঘরোয়া উপায়েও দূর করা যায় ঘুম না আসার সমস্যা।
একটি প্রাচীন প্রতিকারের অংশ হিসাবে, সারা রাত নিয়ন্ত্রিত এবং নিরবচ্ছিন্ন ঘুম পেতে বালিশের নীচে রসুনের একটি কোয়া (Garlic Benefit) রাখার প্রচলন ছিল। বলা হয়ে থাকে যে প্রতিদিন রাতে এটি করলে অনিদ্রা সম্পূর্ণরূপে সেরে যায়।
রসুনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়া রসুনে ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে। এছাড়াও রসুনে প্রচুর পরিমাণে সালফার রয়েছে যার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে (Garlic Benefit) মানুষ ঘুমিড়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Winter Sun: শীতের মিঠে রোদের উপকারিতা জানা আছে? কিন্তু কতক্ষণ গায়ে লাগাবেন?
মায়ো ক্লিনিকের মতে, রসুনের (Garlic Benefit) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি শরীরের তরল এবং অঙ্গগুলিকে সুস্থ এবং সংক্রমণ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং হার্ট ও মস্তিষ্কের মধ্যে খুব সুন্দর যোগাযোগ স্থাপন করে, যা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত, এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিমান আরও বেশি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা তাদের ঘুমের চেয়ে কম ঘুমায় এবং এটি তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই তাদের ক্ষেত্রেও রসুনের (Garlic Benefit) জুরি মেলা ভার।
আরও পড়ুন: Urfi Javed: ল্যারিংজাইটিসে আক্রান্ত, কথা বলতে পারছেন না উরফি! কী এই রোগ?