এমাস থেকেই হোলসেলে ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় দামি হয়ে গেল কমপক্ষে ৯০০ ওষুধ। তালিকায় রয়েছে প্যারাসিটামল থেকে হার্টের রোগের ওষুধও। স্বাভাবিকভাবেই যেসব মানুষকে রোজই কিছু ওষুধ খেতেই হয় তাদের উপরে চাপ বাড়ল বিপুলভাবে। প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে অ্যামোক্সিলিন, পেনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফেকটিভ সহ প্রয়োজনীয় সব ওষুধগুলির দাম আজ থেকে ১২%-হারে বাড়ল। এটাই ওষুধের দামের রেকর্ড সর্বোচ্চ বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।
যেসব ওষুধের দাম বেড়েছে
-প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, সিরাপ ও ইঞ্জেকশন।
-অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ব্যথা কমানোর থ্রামাড্রোল ইঞ্জেকশন, ডিটিপি ভ্যাকসিন, ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ওষুধ।
-টিটেনাস ইঞ্জেকশন, ভিটামিন ওষুধ, ডক্সিসাইক্লিন মেডিসিন।
-ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিত্সার ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন বি।
-হার্টের রোগীদের ডাইক্লোফেনেক ও অ্যাস্ট্রোভাস্টিন।
-অ্যামক্সিসিলিন, ভাইরাল ফিভারের জন্য প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক।
আরও পড়ুন: Side Effects of Headphones: দিনের অনেকটা সময় কানে হেডফোন? পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া জানলে শিউরে উঠবেন
-প্রোজেস্টেরন, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট সমৃদ্ধ ওষুধ।
-কন্ডোম। জন্মনিরোধক বড়ি।
-ডাইবেটিক রোগীরা যে ইনসুলিন পেন ব্যবহার করেন।
-রোগীদের যে গ্লুকোজ সোডিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া হয়।
-হার্ট ব্লক সরাতে যে স্টেন্ট ব্যবহার করা হয়। বেয়ার মেটাল স্টেন্টের দাম বেড়েছে ১০.৫০৯ টাকা। অন্যদিকে, ড্রাগ ইলুউটিং স্টেন্টের দাম বেড়েছে ৩৮,২৬৫ টাকা।
– ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কুইনাইন, প্রিম্যাকুইন, আর্টেসুনেট, ক্লোরোকুইন থেকে শুরু করে , বিভিন্ন হরমোনের ওষুধ এবং হেপাটাইটিস বি, র্যাবিস প্রভৃতি ভ্যাকসিনের দামও বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
– অ্যানিমিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দামও।
– এড্সের থেকে শুরু করে ক্লোট্রিমেজ়োল, ফ্লুকোনাজ়োল, মিউপিরোসিন প্রভৃতি অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, যেগুলি ছত্রাকঘটিত রোগের ঔষধের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
– অ্যামিকাসিন, বেডাকিলিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের মতো যক্ষ্মার ওষুধেরও দাম বেড়েছে।
ইকোনমিক্স টাইমস জানিয়েছে, এনপিপিএ প্রায় ৮০০টি জাতীয় তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের পাইকারি দাম বৃদ্ধি করেছে। ফলে তার প্রভাব পড়বে খুচরো ঔষুধের দামেও।
আরও পড়ুন: Baby Care: শিশুকে অসুস্থ করে তুলতে পারে ডায়াপার, সাবধান থাকুন মায়েরা