ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কেরলে। তার পরেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে উচ্চপর্যায়ের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দল পাঠাতে চলেছে কেন্দ্র। কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে এই মাঙ্কিপক্স? এই রোগটি সম্পর্কে কী কী জেনে রাখা দরকার।
কী এই মাঙ্কিপক্স?
বিরল রোগ মাঙ্কিপক্স আসলে জলবসন্তের মতোই। তবে এর ভয়াবহতা জলবসন্তের চেয়ে একটু কম। এটি এক ধরনের ‘জুনোসিস’ অসুখ। অর্থাৎ, এই সংক্রমণ ঘটে অন্য প্রাণীদের থেকে মানুষের মধ্যে। এই ভাইরাসটির ক্ষেত্রে বাঁদরের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় রোগটি। সেখান থেকেই এমন নামকরণ। এখনও পর্যন্ত এই পক্সে মৃত্যুর হার খুবই কম। কিন্তু অতি দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যে হারে এটি ছড়াচ্ছে, তাতে এর মিউটেশন হতে পারে। ফলে মাঙ্কিপক্সে বহু মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারাতেও পারেন। বিভিন্ন অঙ্গও বিকল হয়ে যেতে পারে এতে।
স্মলপক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যায় এই রোগর ক্ষেত্রে। যদিও এর ভয়াবহতা স্মলপক্সের তুলনায় কম। জ্বর, মাথাব্যথা, পেশির ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, কাঁপুনি মোটামুটি এমন উপসর্গই দেখা যায় মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: Stress relieve tips: সামান্য ঘটনাতেই টেনশন করেন? জানুন সামলে ওঠার সহজ টিপস
কীভাবে ছড়ায় এই মাঙ্কিপক্স?
চিকিৎসকদের মতে, সংক্রমিত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এটি ছড়াতে পারে। সংক্রমিত প্রাণীর ক্ষত, কামড়, লালা থেকে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে এতে। শুধু তাই নয়, সংক্রমিত কোনও প্রাণীর মাংস ঠিক করে সময় নিয়ে রান্না না করা হলেও, তা থেকে ছড়াতে পারে এই অসুখ। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির থেকেও অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।
কীভাবে বাঁচা যায় এই অসুখ থেকে?
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল একটি নির্দেশিকা জারি করেছে এই বিষয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সঙ্গে যৌনমিলনে বিরত থাকতে। আক্রান্তের সঙ্গে চুম্বন করা থেকেও বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। হস্তমৈথুন বা স্বমেহন নিয়েও সাবধান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কারও সঙ্গে দেখা হলে, তার পরে হস্তমৈথুনের আগে নিজেকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে। না হলেও ছড়াতে পারে এই অসুখ। চিকিৎসকরা বলছেন ২ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় মাঙ্কিপক্স। এটি নিজে থেকেই সেরে ওঠে বেশিরভাগ কেসে। তবে প্রয়োজনে ওষুধের দরকার পড়ে।
আরও পড়ুন: Weight Loss Tips: রোগা হতে আজ থেকে ফলো করুন এই ৫ টিপস, আর ওজন কমান ১ মাসে