মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নামকরণ বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই। সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ভাইরাসের নাম, এর দুটি রূপের নাম এবং রোগের নাম দ্রুত পরিবর্তন করা হবে। এর জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। নাম বদলানোর প্রক্রিয়া শেষ হলেই মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানোম গেব্রেইসাস এই ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ঘিরে আপত্তি তুলেছেন একদল বিজ্ঞানী। এই ভাইরাসের নামকরণের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। মাঙ্কিপক্সের সঙ্গে যেভাবে একটি বিশেষ মহাদেশের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে ওই মহাদেশ কলঙ্কিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এই কারণেই দ্রুততার সঙ্গে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্সের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। করোনার আগে মাঙ্কিপক্স মহামারীর আকার ধারণ করেছিল সেই দেশে। বর্তমানে সেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৩৯ টি দেশে। তাছাড়াও মাঙ্কিপক্সের দুটি রূপের একটির নাম পশ্চিম আফ্রিকান রূপ, অন্যটি হল কঙ্গো অববাহিকা বা মধ্য আফ্রিকান রূপ। এই নামকরণ বদলানোর আবেদন করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: Back Pain: সারাদিন বসে পিঠে অসহ্য ব্যথা? কী করবেন
"It’s also essential that vaccines are available equitably wherever needed. To that end, WHO is working closely with our Member States and partners to develop a mechanism for fair access to vaccines and treatments"-@DrTedros #monkeypox
— World Health Organization (WHO) (@WHO) June 14, 2022
অন্যদিকে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে এই ভাইরাসকে মহামারী তকমা দেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা ওই ভাইরাসটিকে মহামারী তকমা দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এখনও অবধি বিশ্বের ৩০টি দেশে দেড় হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। সন্দেহভাজন আরও হাজার দেড়েক। অধিকাংশই ইউরোপের বাসিন্দা। এই সংখ্যাটা প্রাথমিকভাবে সামান্য মনে হলেও এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Weight Loss Tips: দ্রুত ওজন কমাতে চান? প্রতিদিন খান একগ্লাস ছাতুর শরবত