বিশ্বজুড়ে পবিত্র মাস রমজান শুরু হচ্ছে। এই পবিত্র মাসে মুসলমানরা ৩০ দিন উপবাস করেন এবং সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছু খান না বা পান করেন না। গ্রীষ্মকালে রোজাদারদের জন্য এই রীতি মেনে চলা কঠিন হলেও তারা পুরোপুরি মেনে চলেন। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদের প্রিয় ফল ছিল খেজুর । খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। এই ঐতিহ্য আজও অনুসরণ করা হয়। কিন্তু এটা করার পিছনে কিছু যুক্তিও রয়েছে।
- খেজুরে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বেশ কয়েকটি ভিটামিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম একসঙ্গে খেজুরকে সুপারফুড করে তোলে। তাই সেহরি ও ইফতারের খাদ্যতালিকায় এই ফল সবসময় থাকে।
- সেহরির পর আবার ইফতারে খাবার খাওয়া। মাঝে একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান। সেহরিতে যদি খেজুর খান, তাহলে এটি আপনার দিনভর এনার্জিতে ভরিয়ে রাখবে। এর সঙ্গে রমজান মাসে কোনও ভাবেই শরীরে পুষ্টির খাটতি দেখা দেবে না।
- যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খেজুর দুর্দান্ত। এগুলো পটাসিয়াম এবং অদ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ। তবে এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: Rose Day 2022: ‘সুস্থ’ শরীর পেতে রোজ পাতে রাখুন একটি তাজা গোলাপ!
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সেরা খেজুর। আপনি যদি ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভোগেন এবং রোজা রাখেন তাহলে অবশ্যই খেজুরকে ডায়েটে রাখুন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী খেজুর।
- খেজুর শরীরে প্রোটিনের ব্যবহারকে সক্রিয় করে তোলে এবং বিপাকক্রিয়াকে উৎসাহিত করে। এর পাশাপাশি যাঁরা হাইপারটেনশনের রোগী তাঁরাও খেজুর খেতে পারেন।
- রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা আয়রন সমৃদ্ধ খেজুর খেতে পারেন। এতে উপকৃত হবে। গর্ভবতী মহিলা এবং আয়রনের ঘাটতিযুক্ত ব্যক্তিরা খেজুর শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। কারণ খেজুর শরীরে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে কেন এত সিজারিয়ান বেবি? অডিটের সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের