একান্তে গান শোনা, নিজের মতো করে থাকতে থাকতে এই দৃশ্যে এখন অচেনা নয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের অর্ধেক সময়টাই কানে ইয়ারফোন গুঁজে থাকার ফলে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। শুধু গান শোনা বা নিজের মতো করে থাকাই নয়, ইয়ারফোন বর্তমানে ফ্যাশনেরও অংশ। ফলে কানের বারোটা তো বাজছেই, শরীরেরও ক্ষতি হচ্ছে মারাত্মক।
হু-এর মতে, ৭০ ডেসিবেলের বেশি জোরে শব্দ শোনা কানের জন্য খারাপ। এতে শোনার ক্ষমতা চিরতরে নষ্ট হতে পারে। ৭০ ডেসিবেলের বেশি জোরে শব্দ দিনে ১ ঘন্টারও কম শোনা উচিত। অন্যদিকে ৫০ থেকে ৬০ ডেসিবেলের শব্দ ১ থেকে ৩ ঘন্টা শোনাই যথেষ্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, বিশ্বব্যাপী ১০ লক্ষেরও বেশি তরুণ-তরুণী অনিয়ন্ত্রিত শ্রবণ অনুশীলনের কারণের শ্রবণশক্তি হারানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে যে যে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে,তা জানলে শিউরে উঠবেন আপনি।
- প্রতিদিন ইয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চস্বরে গান শুনলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে থাকে।
- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জোরে জোরে গান শুনলে কানের পাশাপাশি হার্টেরও ক্ষতি হয়। হৃদস্পন্দন দ্রুত যেমন করে, তেমনি হার্টের নানা অসুখেরও সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: Bolster: পাশবালিশ ছাড়া ঘুম আসে না? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন
- হেডফোন ও ইয়ারফোন থেকে নির্গত ইলেক্টরোম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কে দারুণ প্রভাব ফেলে। যার ফলে মাঝে মাঝেই মাথাব্যথার শিকার হতে হয়। নতুন করে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, অনিদ্রার সমস্যা তৈরি করে। এমনকি স্লিপ অ্য়াপনিয়াতেও ভুগতে হতে পারে।
- ইয়ারফোনগুলি সরাসরি কানের গর্তে প্লাগ করা থাকে, ফলে কানের ভিতর বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। যার জেরে কানে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হলে বিভিন্ন ধরনের কানের সংক্রমণ দেখা যায়।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, কারোর সঙ্গে ইয়ারফোন শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন। তাতে অন্যার ক্ষতিকারক ব্যাকেরিয়া এক কান থেকে অপর কানে সংক্রমিত করতে পারে।
- হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের জেরে ব্যক্তিজীবন থেকে সামাজিকতা, মানসিক স্বাস্থ্য ও সর্বস্তরে কাজ করার ক্ষমতাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন: Dol 2023: ভাং খেয়ে মাথা ঘুরছে? জানুন ‘হ্যাংওভার’ কাটানোর ৫ উপায়