মেদ ঝরানোর জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া অভ্যাসের সহজ পন্থা। যার জেরে হু হু করে কমিয়ে ফেলা যায় ভুঁড়ি। তা সঠিকভাবে মানলে, আলাদা করে প্রয়োজন নাও পড়তে পারে ব্যায়ামের। যত বেশি শ্রম, তত বেশি কমবে মেদ! আর এই শ্রমের জন্য অনেকেই দিনে আলাদা করে কসরত বা ব্যায়াম করে থাকেন। ভুঁড়ি কমাতে বা আলাদা করে মেদ ঝরাতে ওয়ার্ক আউটে অনেকেই দিনে অনেক্ষণ সময় দিয়ে দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যালোরি বার্ন যত হবে ততই নামবে ওজন, এই সহজ ফর্মুলাতেই কমে ওজন।
ভালো করে ঘুমোচ্ছেন তো? কারণ যদি আপনার ঘুম সম্পূর্ণ হয় তাহলেই ঝরতে থাকবে ওজন। অনেকেই অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকেন। আর তাঁদের জন্য এই ঘুম খুবই প্রয়োজন। অনেকের শরীরেই ঘুমের চাহিদা প্রচণ্ড পরিমাণে থাকে। আর তাতে সাড়া দিয়ে তবেই মেলে কাঙ্খিত স্বস্তি। যদি ভালো ঘুম হয়, তাহলে হাঙ্গার হরমোন গ্রোলিনের লেভেল বাড়বে, আর লেপ্টিনের লেভেল কমবে। যার ফলে আপনার খুবই কম খিদে পেতে পারে।
ব্ল্যাক কফিতে চিনি নয়- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি কেউ ওজন কমানোর কথা ভেবে থাকেন, তাহলে কফি ভালো অপশন। তবে এই ব্ল্যাক কফিতে কিছুতেই দেওয়া যাবে না চিনি। ব্ল্যাক কফি পান করলে সপ্তাহে অন্তত ৫০০ ক্যালোরি কমতে পারে।
ক্যালোরি কম করার জন্য সবচেয়ে জরুরি হল কোল্ড ড্রিঙ্ক না পান করা। এতে ক্যালোরি বাড়ে। এছাড়াও ক্যানের জুস এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। সেক্ষেত্রে গোটা ফল খাওয়া উচিত।
জল পান করা খুবই প্রয়োজনীয় মেদ ঝরাতে। মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়ায় জল পান খুবই উপকারি। বলা হচ্ছে, খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিতে হবে। তাতে যাঁদের বারবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে, তাঁদের পেট ভর্তি থাকে জল খেয়ে। ফলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা অতে কমে যায়।
খাওয়া যাবে না জাঙ্ক ফুড- জাঙ্ক ফুড মেদকে আরও বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে কোনও মতেই জাঙ্ক ফুড খাওয়া উচিত হবে না যাঁরা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তাঁদের। তবে এই সমস্ত অভ্যাস সম্পূর্ণভাবে মেনে চললে তবেই ব্যায়াম বন্ধ করা যাবে!
সন্ধ্যের স্ন্যাক্সস – বেশিতেল জাতীয় বা ভাজাভুজির দিকে এগোবেন না সন্ধ্যের স্ন্যাক্সসে। সেই সময় গ্রিন টি বা কোনও মরশুমি ফল খেতে পারেন।