5 types of contraception you can use to prevent pregnancy

Contraceptive: আর কদিন পরেই বিয়ে? জেনে নিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো

এমন অনেক দম্পতিই আছেন যারা সদ্য বিবাহ করেছেন এখন সন্তান নিতে চাইছেন না। আবার অনেকে একটা সন্তান নেওয়ার পরে বিরতি নিতে চান। কেউ দুইটি সন্তান আছে তাই আর সন্তান নিতে চাইছেন না। অনেকেই আছেন যাঁরা আর কদিন পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।  এমতাবস্থায়, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো কিংবা আপনার জন্য কোনটি ভালো হবে তা জেনে নেওয়া জরুরী।

বয়স ও চাহিদা ভেদে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি একেক রকম হয়ে থাকে। কোন পদ্ধতি আপনার জন্য উপযোগী সেটা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীদের পরামর্শ নিতে পারেন।

১. কনডম
কনডম হল পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় পদ্ধতি। এটি জন্মনিয়ন্ত্রণ ও যেকোনো যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে সবচেয়ে  কর্যকর পদ্ধতি। তবে এটি ব্যবহারে  পুরুষটিকে প্রতিবার সঙ্গম করার সময় কনডম ব্যবহার করতে আগ্রহী থাকতে হবে। প্রতিবার মিলনে একটি নতুন কনডম ব্যবহার করতে হবে।

২. জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ
প্রতিদিন যদি একই সময়ে সেবন করা হয় তবে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। নির্দিষ্ট কিছু শারিরীক সমস্যা ছাড়া সবাই এটি গ্রহণ করতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধের আরো কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন, এতে রয়েছে বেশ কিছু হরমন যার ফলে নারীদের মাসিক নিয়মিত হয়, রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়, পেট খিচুনি হয় না পেট ব্যাথাও কমে যায়। জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ ক্যান্সার সৃষ্টি করে না। তাই অনেক মহিলা ওষুধ খেতে পছন্দ করে।

৩. প্রথোন
প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মী দ্বারা এটি প্রতিস্থাপন ও অপসারণ করতে হয় এবং এর ধরনের উপর নির্ভর করে প্রতি ৩ থেকে ৫ বছরে বদলাতে হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণে এটি ৩/৫ বছর কার্যকর। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই পদ্ধতি যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে না। অবশ্যই কোন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা পদ্ধতিটি গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টের পর শিলাজিৎ ও অশ্বগন্ধা খান রণবীর সিং! জানুন উপকার

৪. ইঞ্জেকশন
এটি একটি সহজ ও কার্যকরী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। তবে ইঞ্জেকশনের ধরন অনুযায়ী প্রতি ৩/৪/৫ মাস পর পর ইঞ্জেকশন নিতে হবে।আপনাকে অবশ্যই কোন প্রশিক্ষত স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিয়ে এই পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে।

৫. বন্ধাকরণ
এটি স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী পদ্ধতিও বটে। একজন পুরুষ বা নারীকে একবার করা হলে তারা আর কখনও গর্ভবতী হবে না বা কাউকে গর্ভবতী করতে পারবে না। যেহেতু আর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাই ভেবে চিন্তে এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।

জরুরি জন্মনিরোধন
জন্ম নিয়ন্ত্রক ছাড়াই যদি যৌনক্রিয়া করে থাকেন বা আপনার কনডম ফেটে যায় তাহলেও আপনি জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধের সাহায্যে গর্ভধারণ রোধ করতে পারেন। এটিকে বলা হয় জরুরী গর্ভনিরোধন। তবে এই বড়ি আপনাকে যৌনক্রিয়া করার পর প্রথম ৫দিনের মধ্যে বা ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সেবন করা যায় তত ভাল এটি কাজ করবে। এটি নারী ডিম্বাণুকে নিসৃত হতে দেরী করানোর মাধ্যমে কাজ করে যাতে গর্ভাবস্থা শুরু হতে না পারে কিন্তু যদি ইতোমধ্যেই আপনি গর্ভবতী হয়ে যান তবে জরুরী জন্মনিরোধন গর্ভাবস্থা থামাবে না।

আরও পড়ুন: Dating: মেয়েরা ডেটিংয়ে ডাকলে প্রথমদিনই যৌনতার সম্ভাবনা বেশি! ইঙ্গিত সমীক্ষায়