হিন্দু বিবাহ আইনে বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce Case) জন্য ৮টি ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ দাম্পত্য জীবনে ৮ ধরনের সমস্যার মধ্যে যে কোনো একটি থাকলে তার ভিত্তিতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করা যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ভিত্তিগুলো কী কী?
হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫-এর অধীনে বিবাহ ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া দেওয়া হয়েছে, যা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ ধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য প্রযোজ্য। এই আইনের ধারা -১৩ এর অধীনে, বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য নিম্নলিখিত কারণ থাকতে পারে:
ব্যভিচার
স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ যদি অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে তা ডিভোর্সের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
রূপান্তর (ধর্মান্তর)
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে।
অশান্ত মন
স্বামী/স্ত্রীর মধ্যে কেউই দুরারোগ্য মানসিক অবস্থা এবং উন্মাদনায় ভুগছেন এবং তাদের পক্ষে একে অপরের সাথে বসবাস করা অসম্ভব।
বিয়ের বাইরে শারীরক সম্পর্ক
যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ বিবাহ বহির্ভূত কারো সাথে সহবাস করে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে এর ভিত্তিতেও বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করা যাবে।
নিষ্ঠুরতা
যদি স্বামী বা স্ত্রী তার সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক, যৌন বা মানসিকভাবে নির্যাতিত হন, তাহলে তা নিষ্ঠুরতার অধীনে বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
পরিত্যাগ
যদি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কেউ তার সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যায় এবং বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করার আগে তারা একটানা দুই বছর ধরে আলাদাভাবে বসবাস করে থাকে।
এ ছাড়া আইনের ধারা-১৩বি-এর অধীনে পারস্পরিক সম্মতিকে বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৯৫৪ (বিশেষ বিবাহ আইন, ১৯৫৪) এর ধারা-২৭-এ আইনগতভাবে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে।