লাভ মার্ক অনেকেই তার শরীরে দেখতে চায়। অনেকেই তার পার্টনারকে ভালবাসার চিহ্ন এঁকে দিতে চায়। কারণ এটি অনেকটা সবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া যে এই মানুষটা আমার।রিলেশনে একে অন্যকে ভালবাসার চিহ্ন হিসাবে, শরীরের বিভন্ন স্থানে লাভ মার্ক দেয়। সেটাই মূলত লাভ বাইট। আর লাভ বাইটেও এরকম চিহ্ন পরে, তবে কোন মার্ক ছাড়াও লাভ বাইট দেওয়া যায়। লাভ বাইট ছেলে মেয়েকে বা মেয়ে ছেলেকে, মানে দুইজনই দুইজনকে দিতে পারে। দুইজনের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হল এটি।
লাভ বাইট আসলে ক্ষত ছাড়া কিছুই নয়৷ জোরে চাপ বা দাঁত ত্বকের গভীরে গেলে ক্যাপিলারি, রক্তনালী ফেটে গিয়ে দাগ হয়ে যায়৷ ঠিক যেমন আমাদের আঘাত লাগলে হয় তেমনই৷ লাভ বাইট কিন্তু নতুন কিছু বিষয় নয়৷ কামসূত্রে লাভবাইটকে প্রবাল ও রত্ন বলা হয়েছে৷ প্রবাল হল লাল ঠোঁট ও রত্ন সাদা ঝকঝকে দাঁত৷
লাভ বাইট যেখানে দেওয়া যায়ঃ
লাভ বাইট শরীরের এমন স্থানে দিতে হবে যে স্থানটি সমতল। হাতের বাহু, গলা, কাধ ও ঘাড় লাভ বাইট সৃষ্টির জন্য ভাল জায়গা। এসব জায়গা যেমন সমতল তেমনি এখানে আছে কিছু ছোট ছোট ব্লাড ভেসেল, ফলে সহজেই রক্ত জমাট বেধে দাগ পড়ে যায়। আর এসব স্থানে কিছু করার জন্য কাপড় খোলারও প্রয়োজন পরেনা। তবে এসব স্থান সহজেই দেখা যায়। অনেকেই চায় না এই মার্কটা সবাই দেখুক। সে ক্ষেত্রে এমন স্থানে দেওয়া উচিত যে জায়গাটা বেশিরভাগ সময়ই কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে যেমন পা,থাই বা পেট। এছাড়া গলায় বা হাতে এরকম মার্ক থাকলে ফুল হাতা জামা বা স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখা যায়।
আরও পড়ুন: যৌনতার পরে ভয়ঙ্কর অ্যালার্জিতে কাবু আমেরিকার মডেল, কিসে হল মুশকিল আসান?
কিভাবে পড়বে লাভ বাইট মার্কঃ
শরীরের কোন স্থানে চুষলে সে স্থানে দাগ পড়ে যায়, সে দাগ টাই হলো লাভ বাইট মার্ক। এটি সৃষ্টির জন্য প্রথমে ঠোঁট যে স্থানে মার্ক দিবেন সে স্থানে বসিয়ে চুষতে হবে এমন ভাবে যেন ঐ স্থানটি আবদ্ধ থাকে সম্পূর্ণভাবে। এভাবে ৩০ সেকেন্ডের বেশি চুষুন। মাঝে ছেড়ে না দেওয়াই ভাল। চোষার সময় জিহবা দিয়ে আদর করতে পারেন। চোষার সময় কিস করে ব্যাপারটিকে ভালবাসাময় করে তুলুন। চোষা শেষে কিস করুন এবং জায়গাটিতে ঠোঁট ঘষুন আলতো করে। আই লাভ ইউ বা এ জাতীয় কোন কথা বলতে পারেন তখন।
তবে খুব জোড়ে চোষা উচিত না, এতে আপনার সঙ্গী ব্যথা পেতে পারে। ঠিক মতো ও পর্যাপ্ত সময় ধরে চুষলে জায়গাটিতে লাল দাগ পরবে কয়েক মিনিটের মাঝে। কয়েক ঘন্টার মাঝে তা কালচে হয়ে যাবে এবং বেশ কয়েকদিন থাকবে। এই চিহ্নের দিকে তাকিয়ে আপনার সঙ্গী মনে করবে আপনার কথা, আপনার সাথে কাটানো সুইট আর ওয়াইল্ড মোমেন্ট গুলোর কথা।
যেভাবে দিবেন লাভ বাইটঃ
লাভ বাইট দিয়ে যেমন মার্ক সৃষ্টি করা যায় তেমনি মার্ক ছাড়াও সেনস্যুয়াল ফিলিং দেওয়ার জন্যও কামড় দেওয়া যায়। মার্ক সৃষ্টির জন্য কামড়ের মাঝে চুষতে আগের নিয়মে।
অনেকেই চায় মেক আউট বা সেক্সকে তার পার্টনার আরো আনন্দময় করে তুলুক কামড় দিয়ে। আস্তে আস্তে কিস করতে করতে কামড় দিন গলায়, কানে, ইনার থাই এ। মেয়েদের ব্রেস্ট চোষার সময় নিপলে হাল্কা কামড় দিতে পারেন। এমন কি কিস করার সময় ঠোঁটেও কামড় দিতে পারেন আস্তে করে। পার্টনারের ভাল লাগলে সে Moan করবেই। তবে জোরে কামড় দিবেন না যাতে মজা নষ্ট হয়ে ব্যথাই প্রাধান্য পায়। আর আপনার পার্টনা্রের কামড়ে যদি ব্যথা পান তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন। লাভ বাইট ও মার্ক রিলেশনে নতুন আমেজ যুক্ত করে।
আরও পড়ুন: Kamasutram: আজীবন ব্রহ্মচারী থেকেও যৌনতার উপরে বই লিখেছিলেন মহর্ষি বাস্ত্যায়ন