দীপাবলির আনন্দে মিশে রয়েছে আতসবাজি। বাজি পুড়িয়ে কালীপুজোয় আনন্দ উদযাপন কোনও নতুন বিষয় নয়। কিন্তু এই বাজি পোড়ানোর সঙ্গে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি। যেমন বাজির ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ফুসফুস, চোখ ইত্যাদি। পাশাপাশি বাজি পোড়াতে গিয়ে সামান্য অসচেতনতা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। অসাবধানতার কারণে বাজি পোড়াতে গিয়ে শরীরে যে কোনও অংশ পুড়ে যেতে পারে। বিশেষত, শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়।
হাত, পায়ের সামান্য অংশ পুড়লে ঘরোয়ায় টোটকায় সামাল দেওয়া যায় ঘরেই। কিন্তু শরীরের কোনও বড় অংশ পুড়ে গেলে তৎক্ষনাত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে রোগীকে। তবে ছোটখাটো পুড়ে যাওয়াতে যে কেউ চাইলে ঘরোয়া উপায়ে সামাল দিতে পারে পরিস্থিতি।
ঘরোয়া টোটকা
- শরীরের যে অংশই পুড়ুক আর যতটুকুই পুড়ুক, সঙ্গে সঙ্গে পোড়া অংশ বরফ ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি ওই পোড়া অংশে ঠান্ডা বা বরফ কম্প্রেস করতে পারেন। পোড়া অংশে ঠান্ডা কম্প্রেস করলে ব্যথা, ফোলাভাব এবং দাগ পড়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
- হাতের কাছে পুড়ে যাওয়ার মলম রাখুন। বরফ ঠান্ডা জলে পোড়া অংশ ডুবিয়ে রাখার পর মলম লাগিয়ে নিন। এরপর ওই অংশে ভেসলিন গজ লাগিয়ে নিন। আলগাভাবে বাঁধবেন। এতে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
- পুড়ে যাওয়া স্থানে সাবান বা কোনও প্রকার প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করা চলবে না। পোড়া জায়গা শুকনো না হওয়া পর্যন্ত কোনও ক্রিম লাগাবেন না।
- পুড়ে যাওয়া অংশে ভেষজ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করবে।
- পুড়ে যাওয়া অংশে আপনি মধু লাগাতে পারেন। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তোলে।
- নারকেল তেল পুড়ে যাওয়া ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ সহায়ক। নারকেল তেলের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে যা ত্বকে পোড়া দাগ পড়তে দেয় না।
https://www.thenewsnest.com/lifestyle-life-kali-puja-how-to-deal-minor-burn-injuries-on-diwali/
Kali Puja: How to deal Minor Burn Injuries On Diwali