Longest Kiss World Record Contest Was Discontinued, Guinness Explains Why

Longest Kiss: ‘দীর্ঘতম চুমু’-র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দিল গিনেস বুক, জানুন কারণ

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কতই না আজব ঘটনা ঘটে থাকে। অদ্ভুত সব বিষয়ের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় বিশ্ব রেকর্ড (World Record)। তেমনই একটি বিভাগ হল ‘দীর্ঘকালীন চুমু’ বা ‘লংগেস্ট কিস’ (Longest Kiss)। এই নিরিখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guinness World Record) তৈরি হত। অতীতের কথা বলা হচ্ছে কারণ শেষবার এই রেকর্ড তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালে। তবে তারপর থেকে গিনেস কর্তৃপক্ষ ‘লংগেস্ট কিস’- এর রেকর্ড গড়ার প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে।

২০১৩ সালে টানা ৫৮ ঘন্টা চুমু খেয়ে বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়েছিলেন এক দম্পতি। এখনও পর্যন্ত থাইল্যান্ডের একাচী এবং লাকসানাই দীর্ঘতম চুমুর রেকর্ডের মালিক। কিন্তু তাঁরাই প্রথম নন। এর আগে মোট ৮জন দম্পতি এমন রেকর্ড গড়েছেন। তাঁদের কেউ ২৯ ঘন্টা কেউ বা তার থেকে কিছুটা কম সময় ধরে চুম্বন করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার নিয়ম ছিল বেশ কড়া। প্রতিযোগিরা এক মূহুর্তের জন্যও যদি একে অন্যের ঠোঁট থেকে সরে আসতেন তাহলেই তাঁরা বাতিল। এমনকি যতক্ষণ চুম্বন চলবে ততক্ষণ বসার বা শোয়ার সুযোগও ছিল না তাঁদের। খাওয়ার পাইপ ব্যবহারের নিয়ম ছিল, কিন্তু সেক্ষেত্রেও দুজনের ঠোঁট এতটুকু আলাদা হওয়া চলবে না।

আরও পড়ুন: Kiss Day 2023: মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা? কী করলে নির্ভয়ে চুমু খেতে পারবেন সঙ্গীকে

তবে সবথেকে ভয়ংকর অবস্থা ছিল শৌচকর্মের ক্ষেত্রে। চুম্বনরত অবস্থায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া বেজায় কঠিন। সেইসঙ্গে প্রতিযোগিতা চলাকালীন সবসময় ঘিরে থাকবে আয়োজকরা। এভাবে শৌচকর্ম সারা বেশ অস্বস্তিকরও বটে। তবু অনেকেই ঝোঁকের বশে এই প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতেন। যার ফল হত মারাত্মক। কয়েক ঘণ্টা ওইভাবে কাটানোর পরই কেউ কেউ জ্ঞান হারাতেন। আর কেউ যদি রেকর্ড গড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেও যান তাহলে প্রতিযোগিতা শেষ হওয়া মাত্র তাঁদের নিয়ে ছুটতে হত হাসপাতালে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছে গিনেস বুকের কর্মকর্তারা।

১৯৯৯ সালে ইজরায়েলের এক দম্পতি টানা ৩০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে একে অপরকে চুমু খাওয়ার পর তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছিল যে, তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ২০০৪ সালে ৩১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ধরে একে অপরকে চুমু খেয়ে বিশ্বরেকর্ডের পর সংশ্লিষ্ট দম্পতিকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচাতে হয়েছিল। ২০১১ সালে মাত্র ৩০ মিনিট চুমু খেয়েই এক মহিলা প্রতিযোগী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তাই এই প্রতিযোগিতা চিরতরে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন তাঁরা। বদলে নিয়মে কিছুটা শিথিলতা এনে অন্য এক চুমু প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছে এই সংস্থা। সেখানে প্রতিযোগিতার মাঝে বিশ্রামের সুযোগ পাবেন প্রতিযোগীরা। তাই অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কম। সেইসঙ্গে পাকাপাকিভাবে থাইল্যান্ডের ওই দম্পতিকে দীর্ঘতম চুমুর চিরস্থায়ী খেতাব দিয়েছে এই সংস্থা। আগামী দিনে তাঁদের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ পাবেন না কেউওই।

আরও পড়ুন: Sexual Life: বিবাহিত জীবনে সুখ ফেরাতে চুমুক দিন এই সব ফলের জুসে…