ভারতীয় পুরুষ এবং মহিলাদের যৌনজীবন নিয়ে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (NFHS) নয়া রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে উঠে এল একাধিক বিস্ফোরক তথ্য়।
NFHS-এর প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় পুরুষদের তুলনায় মহিলারা তাড়াতাড়ি যৌনতা বা সেক্সের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে একটা সমীক্ষা চালানো হয়। যেখানে ১০.৩ শতাংশ মহিলা দাবি করেন, ১৫ বছর বয়স থেকেই যৌনজীবন উপভোগ করতে শুরু করেছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে পুরুষদের হার মাত্র ০.৮ শতাংশ। ভারতে ১৮ বছরকে সাবালকত্বের সীমা হিসেবে ধরা হয়। ফলে এর থেকেই স্পষ্ট যে নাবালক অবস্থাতেই বহু নারী যৌনতার অভিজ্ঞতা লাভ করছেন।
NFHS-এর রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, যে সমস্ত নারীরা স্কুলে যাননি, তাঁরা প্রায় ১৭.৫ বছর বয়সেই যৌনতা সম্পর্কে বুঝতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাঁরা যৌনতার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। বহুক্ষেত্রে সেটা খারাপ অভিজ্ঞতাই হয়েছে। শিক্ষিত মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই বয়সটা ২২.৮ বছর। অর্থাৎ শিক্ষা যে এক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা পালন করছে, তা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: Kamasutram: আজীবন ব্রহ্মচারী থেকেও যৌনতার উপরে বই লিখেছিলেন মহর্ষি বাস্ত্যায়ন
অন্যদিকে, সমীক্ষা বলছে, ৮২ শতাংশ ভারতীয় নারী স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে যেতে আপত্তি জানাতে পারেন। দেশ জুড়ে যখন বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক, তখন এই সমীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই সমীক্ষা বলছে, যৌন মিলনে ‘অসম্মতি’ প্রকাশ করতে পারার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে গোয়ার মহিলারা। গোয়ার ৯২ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, তাঁরা যৌন সঙ্গমে অসম্মতি জানতে পারেন। এই হার সবচেয়ে কম অরুণাচল প্রদেশে, সেখানে কেবল ৬৩ শতাংশ মহিলা ‘না’ বলতে পারেন স্বামীকে। পাশাপাশি, এ বারের সমীক্ষায় পুরুষদের একটি বিশেষ প্রশ্ন করা হয়— ‘স্ত্রী যৌন সঙ্গমে অসম্মত হলে, স্বামীর তাঁকে তিরস্কার করা, টাকাপয়সা না দেওয়া, জোর করে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করা কিংবা অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত কি না?’ কেবল ৭২ শতাংশ পুরুষ এই চারটির কোনওটিই করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Contraceptive: আর কদিন পরেই বিয়ে? জেনে নিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো