গত দু’বছরে আর পাঁচটা ব্যবসার মতো কন্ডোমের ব্যবসাতেও ভাঁটা পড়েছে। কন্ডোম গত দুবছরে লকডাউন আর করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে অনেকেই কেনেননি, পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। অর্থাৎ সুরক্ষা ছাড়াই যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন সকলে। কন্ডোমের বিক্রি অনেক কমে গেছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে মানুষের মধ্যে যেমন একদিকে বেড়েছে যৌনসম্পর্কের প্রবণতা। কিন্তু সতর্কতামূলক প্রবণতা কমেছে অনেকটাই। কারণ কন্ডোমের ব্যাবসা কমলেও কমেনি গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটের ব্যবহার।
সমীক্ষায় উঠে আসছে বেশ কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য। যেমন করোনা আবহে কিছু মানুষ বাড়িতে থেকে কাজ করছেন। ফলে জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীকে আরও কাছে পাওয়ার সুযোগ হয়েছে, বা বেশি সময় দিতে পারছেন। অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে হোটেল, পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি বন্ধ থাকার ফলে বাইরে অবাধ মেলামেশা পুরোপুরি বন্ধ। তাই এই অনিশ্চিত আবহাওয়াতে মারাত্বকভাবে একে অপরকে আঁকড়ে ধরার প্রবণতা বাড়ছে। এতেই উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে কন্ডোম বিক্রি।
আরও পড়ুন: Female Masturbation: মহিলাদের হস্তমৈথুন নিয়ে বিস্ময়কর সাতটি তথ্য! আপনি জানেন কি?
অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কারও সঙ্গে আলাপ হলেও সামনে থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার উপায় নেই। আলাপ পরিচয় সবই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সীমাবদ্ধ। আর এইসব কিছুর জেরেই ব্যাবসায় ধাক্কা খাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থা মালোয়েশিয়ার কারেক্স। বিশ্বের যত কন্ডোম বিক্রি হয় তার প্রতি পাঁচটার মধ্যে একটা কারেক্সের। তারা জানিয়েছে, কোভিড অতিমহামারীর মধ্যে বিগত দু’বছরে কন্ডোমের ব্যবহার কমে গেছে ৪০ শতাংশ। কারেক্স জানাচ্ছে, কন্ডোম বিক্রি কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে কোভিডের জন্য হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়া। বাড়ির বাইরে নিভৃতে সময় কাটানোর সুযোগ, প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ এই দু’বছরে চোখে পড়ার মতো কমেছে। এই ক’দিনে কন্ডোম থেকে কারেক্সের শেয়ার কমে গেছে ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এখনও অঙ্কিতাকে টেক্কা দিতে পারি! শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ‘বৃদ্ধ’ মিলিন্দ