যৌনরোগ থেকে বাঁচতে যৌন শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু এরই পাশাপাশি যৌন আনন্দের কথাও বলতে হবে মানুষকে। আর সেটা করলেই যৌন-নিরাপত্তার বার্তা পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।
‘হু’ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভয় দেখিয়ে নয়, যৌনতা উপভোগের বার্তা অনেক বেশি অনুপ্রেরণা জোগায়। কাজেই সেটাও একই ভাবে দিতে হবে। অর্থাৎ যৌনতা নিরাপদ তো হতেই হবে। পাশাপাশি তা উপভোগ্যও যাতে হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের(Oxford University) অধ্যাপকদের সঙ্গে মিলিত ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা এই বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, যৌন শিক্ষার মূলে যৌন অসুখ প্রতিহত করার বার্তা নয়, কেন্দ্রে রাখা হোক যৌন আনন্দের কথা।
তাঁরা বলছেন, কন্ডোমকে(Condom) ‘সেক্সি’(Sexy) বলে উল্লেখ করলে সেটিকে যৌন আনন্দের উপকরণ হিসেবেই দেখবেন মানুষ। এর ফলে তাঁর কন্ডোম ব্যবহারে বেশি উৎসাহ পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন, যৌনতার আসল উদ্দেশ্য কী সেটা লোকজনকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এর ফলে ভাল ফল পাওয়া যাবে বলেই বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস।যদি মনে করিয়ে দেওয়া যায় লুব্রিকেশনের ব্যবহারের ফলে যৌন আনন্দ বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, তাহলে মানুষ এতে বেশি উৎসাহিত হবেন।
কনডম প্রায় ৪০০ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই কনডম ব্যবহার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় জন্মনিরোধ পদ্ধতি। আধুনিক সমাজে কনডমের ব্যবহার ব্যাপক মান্যতা লাভ করেছে। যদিও যৌনশিক্ষা পাঠক্রমে কনডমের ব্যবহার ইত্যাদি প্রসঙ্গে কনডম নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশে।
প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে কনডমের ব্যবহার প্রচলিত ছিল কিনা তা নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। প্রাচীন মিশর, গ্রিস ও রোমে গর্ভাধান রোধ নারীর দায়িত্ব হিসেবে পরিগণিত হত। এই সব দেশ থেকে পাওয়া প্রাচীন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির যে বিবরণীগুলি পাওয়া গেছে, সেগুলিতে মূলত নারী-নিয়ন্ত্রিত গর্ভনিরোধ বস্তুগুলিরই উল্লেখ রয়েছে। তবে পঞ্চদশ শতাব্দীর পূর্বে কিছু শিশ্নাগ্র কনডমের ব্যবহারের কথা জানা যায়; এগুলি প্রধানত পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগকে ঢেকে রাখত।