ধারণা ছিল মূত্রনালীতে কোনও সংক্রমণ হয়েছে তাঁর। কিন্তু পরীক্ষা করতেই দেখা গেল তাঁর ব্লাডারে (Bladder) আটকে রয়েছে আস্ত একটি কাচের গ্লাস! সঙ্গে অতিকায় একটি ব্লাডার স্টোন। স্বাভাবিক ভাবেই চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারদের।
কী করে ওই গ্লাস গিয়ে পৌঁছল ব্লাডারে? এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের দাবি, মহিলা ডাক্তারদের কাছে জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে কাচের গ্লাসকেই তিনি সেক্স টয় হিসেবে ব্যবহার করতেন। সেই সময়ই যোনির পরিবর্তে মূত্রনালীতে তিনি সেটিকে ঢুকিয়ে ফেলেন। ঘটনাটির কথা প্রকাশিত হয়েছে মেডিক্যাল জার্নাল ‘সায়েন্স ডাইরেক্ট’-এ। সেখানে বলা হয়েছে, গ্লাসটি ছা়ড়াও ৮ সেন্টিমিটারের অতিকায় স্টোনও ছিল ওই মূত্রনালীতে। যার থেকে বড় বিপত্তি হতেই পারত।
যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। টিউনিশিয়ার শহর এসফ্যাক্সের হাবিব বোর্গিবা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা শেষ পর্যন্ত সিস্টোলিথোটমি নামে এক ধরনের ওপেন সার্জারি করে ওই স্টোন ও গ্লাস বের করে এনেছেন মহিলার মূত্রনালী থেকে। জানা গিয়েছে, মহিলার মূত্রে কোনও রক্তপাতের ঘটনা ঘটেনি।
অনেক সময়ই বহু রোগিণী এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন। বিপত্তির পরেও ডাক্তারের কাছে যেতে সংকোচ হয় তাঁদের। এর ফলে পরবর্তী সময়ে বড় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় তাঁদের। তবে এক্ষেত্রে টিউনিশিয়ার ওই মহিলার কপাল ভালই।