দুর্গা পূজা বাঙালির প্রধান উৎসব। আর এই উৎসবের প্রতিটি দিনই আলাদা সাজ-পোশাকে নিজেকে উপস্থাপন করার এক বিশেষ সুযোগ। সপ্তমী হলো পূজার প্রথম দিন, যা উদযাপনের উন্মাদনা আর আনন্দের সঙ্গে ভরপুর। তাই এই দিনে বিশেষ মেকআপ ও সাজের মাধ্যমে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
১. ত্বকের প্রস্তুতি
মেকআপের আগে ত্বক প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি।
ক্লিনজিং: প্রথমে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন যাতে ত্বকে কোনো ময়লা বা তেল না থাকে।
টোনিং: একটি টোনার ব্যবহার করে ত্বককে সতেজ করুন।
ময়েশ্চারাইজিং: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে একটি লাইট ওয়েট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
প্রাইমার: মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য প্রাইমার লাগান।
২. বেস মেকআপ
ফাউন্ডেশন: আপনার ত্বকের সাথে মিলে যায় এমন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। হালকা থেকে মাঝারি কভারেজ বেছে নিন যাতে ত্বক প্রাকৃতিক দেখায়।
কনসিলার: ডার্ক সার্কেল বা দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করুন।
সেটিং পাউডার: ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে হালকা পাউডার লাগান।
৩. চোখের মেকআপ
সপ্তমীর দিনে চোখের মেকআপে একটু জাঁকজমক আনতে পারেন।
আইশ্যাডো: গোল্ডেন বা ব্রোঞ্জ শেডের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন যা উৎসবের আমেজ বাড়াবে।
আইলাইনার: উইংড আইলাইনার দিয়ে চোখকে আকর্ষণীয় করুন।
মাস্কারা: ঘন ও লম্বা চোখের পাপড়ির জন্য দুই স্তর মাস্কারা লাগান।
কাজল: নিচের ওয়াটারলাইনে কাজল ব্যবহার করে চোখের সৌন্দর্য বাড়ান।
৪. ভ্রু এবং চেহারার আদল
ভ্রু: ভ্রুকে একটি আইব্রো পেন্সিল বা পাউডারের সাহায্যে ভরাট করুন।
কন্ট্যুরিং ও হাইলাইটিং: হালকা কন্ট্যুর দিয়ে মুখের গঠন নির্ধারণ করুন এবং হাইলাইটার দিয়ে উজ্জ্বলতা যোগ করুন।
ব্লাশ: পীচ বা গোলাপি রঙের ব্লাশ ব্যবহার করে গালে একটি স্বাস্থ্যকর আভা আনুন।
৫. ঠোঁটের মেকআপ
লিপলাইনার: ঠোঁটের আকার নির্ধারণ করতে লিপলাইনার ব্যবহার করুন।
লিপস্টিক: গভীর লাল, মারুন বা বেরি টোনের লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন যা আপনার পোশাকের সাথে মানানসই হবে।
লিপগ্লস (ঐচ্ছিক): একটু গ্লস লাগিয়ে ঠোঁটে উজ্জ্বলতা যোগ করুন।
৬. চুলের স্টাইল
খোলা চুল: হালক ওয়েভ বা কার্ল করে চুল খোলা রাখতে পারেন।
জুঁই বা গাঁদা ফুলের মালা: চুলে ফুলের মালা ব্যবহার করে উৎসবের ছোঁয়া আনুন।
বেণী: বিভিন্ন ধরনের বেণী স্টাইল ট্রাই করতে পারেন যা ট্রেন্ডি এবং আরামদায়ক।
৭. অ্যাকসেসরিজ
**টিকলি বা মাথাপট্টি:
ঝুমকা বা দুল: বড় ঝুমকা বা দুল ব্যবহার করে সাজ সম্পূর্ণ করুন।
চুড়ি ও বালা: রঙিন চুড়ি বা বালা হাতে পরতে পারেন যা পোশাকের সাথে মানাবে।
৮. পোশাক নির্বাচন
যারা শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তারা সুন্দর সালোয়ার কামিজ বা আনারকলি পরতে পারেন।
সপ্তমীর দিনে নিজেকে সেরা রূপে উপস্থাপন করতে এই সাজসজ্জা আপনাকে সাহায্য করবে। তবে সবকিছুর পরেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের আত্মবিশ্বাস ও স্বকীয়তা বজায় রাখা। নিজের মতো করে সাজুন, আনন্দ করুন এবং দুর্গা পূজার উৎসবে মেতে উঠুন।