হাতে মাত্র দু’দিনের ছুটি পেলেন অফিস থেকে। ভাবতে বসেছেন কোথায় যাওয়া যায়! একবার তাহলে চোখ বুলিয়ে নিন এই ৫টি জায়গায়। হাতে অল্পদিনের ছুটি থাকলেই মাথায় হাত পরে সকলের। এটা ভাবতেই সময় চলে যায় কোথায় যাওয়া যায় এই অল্প সময়ের মধ্যে। যাতে এইরকম পরিস্থিতির সময় সহজেই সমাধান পেতে পারেন, তার জন্য একবার দেখে নিন এই জায়গাগুলো। মাত্র এক দিনে এবং খুব অল্প খরচেই ঘুরে আসতে পারবেন এই জায়গা গুলো থেকে।
রায়চক: শহর থেকে কিছুটা দুরেই ডায়মন্ড হারবারে অবস্থিত রায়চক ভ্রমণপিপাসুদের একটি পছন্দের জায়গা। এখানে রয়েছে রায়চক জেটি। জেটি করে ভ্রমণ করতে চাইলে আধ ঘণ্টার জন্য খরচ পড়বে ১০ টাকা। গঙ্গার সামনেই রয়েছে থাকবার একাধিক জায়গা। এখানে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে খরচ কমাতে সঙ্গে করে খাবার নিয়ে আসা যায়।
তাজপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর অন্যতম ভ্রমণ স্থান। এখানে সমুদ্রসৈকতে দেখা যাবে প্রচুর লাল কাঁকড়া। যে কারণে সমুদ্র সৈকত বেশ রঙিন দেখায়। এখানকার আকর্ষণীয় জায়গাগুলির মধ্যে রয়েছে দ্য ভার্জিন বিচ, ঝাউ বন। এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতি ঢেউয়ে জ্বলে ওঠে চিকমিকেআলো! ভারতের এইসব সমুদ্র সৈকতে ঘুরে আসুন
কোলাঘাট: পূর্ব মেদিনীপুরের রূপনারায়ণ নদীর কূলে অবস্থিত এই শহর কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বড় শহর ইলিশ মাছ ও ফুলের জন্য বিখ্যাত। এখানে আসলে থাকার জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে হোটেল সোনার বাংলায় । শের-ই-পাঞ্জাবে করা যাবে ভুরি ভোজ।
টাকি: ভারত-বাংলাদেশের ছোঁয়া রয়েছে টাকি শহরে। টাকির ইছামতী শহরের অপর প্রান্তে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। এখানে আসলে মাছরাঙা দ্বীপ একবার ঘুরে আস্তে পারেন। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান। সারাদিনের জন্য রিকশা ভাড়া করে ভ্রমণ করা যায়।
বকখালি: দীঘা অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে না সেক্ষেত্রে বকখালির কথা একবার ভেবে দেখতেই পারেন। ভারতের মধ্যে একমাত্র এখানেই সাদা বালি দেখতে পাওয়া যায়। এখানকার বিশালাক্ষী মন্দিরটিও দেখবার মত। কলকাতা থেকে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বকখালির পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম।
আরও পড়ুন: Tajmahal: ভূস্বর্গের বুকে প্রেমের সৌধ! বরফের তাজমহল দেখতে মানুষের ভিড়