incredible india: a look at unique prasads offered in temples across the country

এই মন্দিরে ‘প্রসাদ’ দেওয়া হয় সোনার টুকরো, চিকেন ও মটন বিরিয়ানি! ঘুরে আসবেন নাকি…

আমাদের দেশের এমনকিছু মন্দির রয়েছে যেখানে ফল মিষ্টি দিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করা হয় না। বরং বলা ভালো দেবতার প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের দেওয়া হয় অদ্ভুত সব জিনিসপত্র। যেগুলি শুধুমাত্র চাক্ষুস করার তাগিদে এখানে হাজির হন বহু পর্যটক। মন্দিরে পুজো না দিলেও সেই সব প্রসাদ পাওয়া যায়।

রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দির, মধ্যপ্রদেশ

মধ্যপ্রদেশের রতলামের মহালক্ষ্মী মন্দিরে ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় সোনা। তবে সারা বছর নয়। ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে সোনা দেওয়া হয় দীপাবলির সময়। এই সোনা প্রসাদ পেতেই ভক্তরা প্রায় প্রতিবছরই দূর দূরান্ত থেকে মহালক্ষ্মী মন্দিরে ছুটে যান। সোনার পরিমাণ হয়তো সামান্য। তবে হলে কী হবে, সোনা বলে কথা। তবে এি সোনা কিন্তু ব্যবহার করা হয় না। ভক্তদের বিশ্বাস এই সোনার টুকরো ঘরে রাখলে শ্রী বৃদ্ধি হয়, গৃহস্থর ঐশ্বর্য বৃদ্ধি হয়। এমনিতে সারা বছর মন্দিরে কোটি কোটি টাকার সোনা রুপোর গয়না মন্দিরে দান করে বহু ভক্ত। সেখান থেকেই দীপাবলির সময় সোনা বিতরণ করা হয় ভক্তদের।

মুনিয়ান্দি মন্দির, তামিলনাড়ু

তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের মুনিয়ান্দি মন্দিরের প্রসাদ কি জানেন? মটন বিরিয়ানি। আজ্ঞে হ্যাঁ। চমকে উঠবেন না। এই প্রসাদেরচল মন্দিরে চলে আসছে অনেকদিন ধরেই, সেই ১৯৭৩ সাল থেকে। শোনা যায় সেই সময় মাদুরাইয়ের বারাকামপাত্তি গ্রামের এক ব্যক্তি হোটেলের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেই ব্যবসা সফল হওয়ায় ওই ব্যক্তি মন্দিরের বিগ্রহকে উৎসর্গ করে একটি মহাভোজের আয়োজন করেন। মেনু ছিল মটন বিরিয়ানি। ব্যস্, সেই শুরু। তারপর থেকেই মন্দিরকে কেন্দ্র করে সেখানে শুরু হয় মুনিয়ান্দি উৎসব হয়। প্রতি বছর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তিনদিন ধরে এই উৎসব চলে।

শ্রী বাঁকে বিহারী মন্দির, বৃন্দাবন

শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় খাবার মাখন আর মিছরি। বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে এই মাখন বিছরিই দেওয়া হয়। এই মাখন তৈরি হয় শ্রীকৃষ্ণের খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে। ভক্তদের মাটির ভাঁড়ে করে এই মাখন মিছরি পরিবেশন করা হয়।

আরও পড়ুন: Pujo Travel: ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না? উত্তরবঙ্গের জন্য প্রচুর বাড়তি বাস NBSTC’র

বৈষ্ণদেবীর মন্দির, জম্মু

কাজু, কিশমিশ, মুড়ি, শুকনো নারকেল, এলাচ, শুকনো আপেল প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে। এছাড়াও মিছরি এবং একটি রুপোর কয়েন পূর্ণ প্যাকেটও প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় ভক্তদের। প্রসাদগুলি পাটের কাপড়ের থলে করে বিতরণ করা হয়।

কামাক্ষ্যা মন্দির, অসম

অসমের কামাক্ষ্যা মন্দির তার বিশেষ নিয়মের জন্য এমনিতেই বিশ্ববিখ্যাত। অম্বুবাচীর সময় দেবী কামাক্ষ্যা রজঃস্বলা হন। সেই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। দেবীর ত্যাগ করা রজ মিশ্রিত প্রস্রবনের জল ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়াও দেবীর ত্যাগ করা তরলে চোবানো কাপড়ের টুকরোও ভক্তদের দান করা হয়।

কাল ভৈরবের মন্দির, মধ্যপ্রদেশ

মহাদেবের এক প্রাচীন মন্দির এই কালভৈরবের মন্দির। মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনীতে অবস্থিত এই মন্দিরে মহাদেবকে নৈবেদ্য হিসেবে মদ দেওয়া হয়। পুজোর পর সেই মদ আবার ফেরত দেওয়া হয় ভক্তদের।

পরসিনিক্কাড়াভু মন্দির, কেরালা

কেরলের কন্নুরের পরসিনিক্কাড়াভু মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে ভক্তরা পান মাছ, তাড়ি কিংবা মদ। এই জিনিসগুলি প্রথমে দেবতাকে অর্পণ করা হয়। তারপর সেগুলি ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

মহাদেব মন্দির, কেরালা

কেরলের ত্রিসূরের মহাদেব মন্দিরে ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় বই, ডিভিডি, সিডি এবং পড়ারশোনার বই। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের বইও দান করা হয় এই মন্দিরের তরফে।

আরও পড়ুন: রেলের এই নিয়মগুলি মানলেই পোষ্যকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারবেন…