বহু প্রতীক্ষিত ছবি ব্রহ্মাস্ত্র অবশেষে মুক্তি পাবে সামনের মাসে। এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই টিজারটি দেখে নিয়েছেন এবং এই টিজারের সঙ্গে অবশ্যই ‘কেশরিয়া’ ছবির সবচেয়ে রোম্যান্টিক এবং জনপ্রিয় গানটিও দেখেছেন। তবে এই গানটি ছাড়াও আজকাল মানুষের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে তা হল এতে দেখান সুন্দর মন্দির। দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই এই মন্দিরের নাম কী? কোথায় গেলে এমন সুন্দর মন্দিরের দর্শন মিলবে? চলুন এই মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাক।
গানটির ভিডিয়ো দেখে বোঝা যাচ্ছে পুরো গানটি বেনারসের ঘাট ও শহরের রাস্তায় শুটিং করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্যুটিং হয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ও। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির “জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির” নামে পরিচিত শিবের বারোটি পবিত্রতম মন্দিরের অন্যতম। বারাণসী শহরের অপর নাম “কাশী” । তাই এই মন্দিরটি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব “বিশ্বনাথ” বা “বিশ্বেশ্বর” নামে পূজিত হন। সম্প্রতি কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সম্পর্কে সাতটি আশ্চর্যজনক তথ্য…
১. ১৪৯০ সালে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়। অনেকেই হয়ত জানেন না, এই মন্দির বেশ কিছু সময় বৌদ্ধদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
২, মুঘল সম্রাট আকবর মূল মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন।
৩. ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর সর্বশেষ পুনঃনির্মিত এবং তার গৌরব পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তিনি মন্দিরটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং এর জন্য তহবিলও সরবরাহ করেছিলেন।
৪, কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরটি হিন্দুদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্য বহন করে। হিন্দুদের বিশ্বাস, ভগবান শিব এখানে কিছুকাল অবস্থান করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Travel: চলুন ঘুরে আসা যাক ভারতের ‘মিনি ইজরায়েল’ থেকে
৫. এই মন্দিরগুলি গঙ্গার তীরে “বিশ্বনাথ গলি” নামে একটি গলিতে অবস্থিত। প্রধান মন্দিরের মধ্যে একটি ৬০ সেন্টিমিটার উঁচু ও ৯০ সেন্টিমিটার পরিধির শিবলিঙ্গ রুপোর বেদির উপর স্থাপিত। ১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরের চূড়াটি ১০০০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।
৬. কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের তিনটি গম্বুজ সোনায় মোড়া। প্রচলিত ধারণা, এই সোনার ছাত্রা দেখে যে কোনও ইচ্ছে পূরণ হয়।
৭. প্রাচীন কিংবদন্তি অনুসারে, মহাদেব কাশীর প্রতি এতটাই অনুরাগী ছিলেন যে তিনি বিষ্ণুর কাছে এই পবিত্র স্থানটি নিজের জন্য আবাস হিসাবে চেয়েছিলেন। সেই থেকে কাশী শিবের আবাসে পরিণত হয়েছে। অন্য একটি কাহিনি অনুসারে, ভগবান শিব এই নগরে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিকে জন্ম-মৃত্যু থেকে মুক্তি দিয়ে মোক্ষ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: Darjeeling: দার্জিলিংয়ে এবার মেঘ-কুয়াশায় মোড়া Roof Top ‘ক্যাফে হাউস’, মন ভরাবে পর্যটকদের