Shantiniketan: forest dept takes decision on sonajhuri haat

Shantiniketan: ভিড়ের চাপে বিপন্ন খোয়াই, সোনাঝুরির হাট আর সপ্তাহে ৭ দিন বসবে না

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি খোয়াই হাট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল হাট কমিটি। সপ্তাহে ৪ দিন বসবে হাট বাকি ৩ দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে হাট। এই তিন দিনে হাট পরিষ্কার ও গাছের চর্চা হবে বলে জানিয়েছে হাট কমিটি। সিদ্ধান্ত না মানলে দেওয়া হবে কঠোর শাস্তি।

প্রায় ২০ বছর আগে বনদপ্তরের জায়গায় কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী, হস্তশিল্পী ও আদিবাসীশিল্পীদের নিয়ে শুরু হয় সোনাঝুরির হাট। সেই হস্তশিল্পীদের হাট আজ অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সারা বছর দূর-দূরান্তের হাজার হাজার মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। তবে বনদপ্তরের জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওটা হোটেল, রিসোর্টের জন্য হস্তশিল্প সোনাঝুরি হাটের সৌন্দর্য ক্রমশ হারাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকেরা। জঙ্গল নষ্ট হচ্ছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরাও।

মূলত শান্তিনিকেতন (Santiniketan) লাগোয়া সেচ ক্যানালের দু’পাশেই রয়েছে খোয়াই বন। শীত পড়তেই এই বন হয়ে ওঠে পর্যটন ক্ষেত্র। এমনকী পৌষ উৎসবের সময়েও পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ, এই সোনাঝুরি বনের ভিতর খোয়াই হাট। এখন যদিও সারা বছরই ভিড় জমে সোনাঝুরিতে। তবে, শীতকালে এই ভিড় উপচে পড়ে। বিশেষ করে পৌষমেলার সময়ে। তবে এবার জঙ্গল বাঁচাতে জমি চিহ্নিতকরণের পরিকল্পনার পর হাট চারদিন খোলার নির্দেশ দিয়েছে বনদপ্তর। বোলপুরের বনদপ্তরের আধিকারিক জ্যোতিষ বর্মন জানান,”জীববৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখেই হাট চারদিন খোলা থাকবে। তিনদিন জঙ্গল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও গাছ লাগানো পরিচর্যা চলবে। বনবিভাগ এবং হাট কমিটির যৌথভাবে জঙ্গল সুরক্ষা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলের কোনও ক্ষতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।”

সপ্তাহে ৪ দিন বসবে হাট বাকি ৩ দিন সম্পূর্ণভাবে হাট বন্ধ থাকবে। আজ সোনাঝুরি খোয়াই হাটে করা হলো মাইকিং জানিয়ে দেওয়া হলো ব্যবসায়ীদের। এই সিদ্ধান্তে খুশি ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।  হস্তশিল্পদের ইউনিয়নের সদস্য আরোজ মন্ডল জানান,”বোলপুর-শান্তিনিকেতনে সরকারি জায়গার উপর ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরাও বনদপ্তরের জায়গায় ব্যবসা করায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে রুটি-রুজির প্রশ্নে বনদপ্তর চারদিন করে হাট চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এতে খুশি প্রায় ১৭০০ হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ী। জঙ্গলে যাতে কোনোভাবেই ক্ষতি না হয়। হাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে গাছ লাগানো এবং পরিচর্যায় বিশেষ নজর দেবে সকলেই।”