Kurseong থেকে মাত্ৰ 13/14 km দূরত্বে 4783 ft উচ্চতায় চারিদিক মহারানী পাহাড় আর মার্গারেট হোপ চা বাগান দ্বারা পরিবেষ্টিত এক মায়াবী গ্রাম যেখানে স্বর্গ চেরা মেঘেরা দেখা করতে আসবে আপনার সাথে,পাখিরা সুর মূর্ছনায় আপনার মন ভোলাবে, চা পাতার সুগন্ধ আপনার মনে যে দাগ কাটবে, জন্ম জন্মান্তরে তা ভুলতে পারবেন না৷জায়গাটার নাম বেলতার। কার্শিয়াংয়ের একটা ছোট্ট গ্রাম এটা। তবে কার্শিয়াংয়ের মতো লোকের ভিড় এখানে নেই। বড্ড ফাঁকা। একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে এখানে আসলে প্রকৃতির সঙ্গে।
আপনি দার্জিলিং, kurseong, kalimpong ঘুরতে এলে একটা দিন Beltar আর জন্য রাখতেই পারেন। এখানে আপনি না পাবেন কোনো পপুলার দর্শনীয় স্থান, না টুরিস্টদের ভিড়,পাবেন সবুজ স্বপ্ন পুরী আর মনের শান্তি। এখান থেকে অনায়াসেই ঘুরে নিতে পারেন আম্বটিয়া মন্দির, Salamander Lake, সোনাদা, নেতাজি Musium, চিমনি, বাগড়া, চটক পুর, রংবুল ইত্যাদি। গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন কার্শিয়াংয়ের ঝুলন্ত ক্যাফে মার্গারেট ডেক। এছাড়া ডাও হিল ভুত দেখতে, হনুমান টক, ইগলস ক্র্যাগ, গিড্ডা পাহাড় দেখতে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! মাত্র ২০ টাকা ভারত থেকে নেপাল বেড়াতে যেতে পারবেন, জানুন বিস্তারিত
কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ শোভা এখনে পাবেন। বেলতার গ্রামের এই রিসর্টটি আপাতত চালাচ্ছে জিটিএ। তবে বুকিং করতে হবে আপনাকে ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বা ফোন করে। চারদিকে চা বাগান। পাশেই রয়েছে কুলকুল করে বয়ে চলা একটা পাহাড়ি নদী। বেলতার রিভারসাইড রিসর্টের অন্যতম আকর্ষণ হল এর সুইমিং পুল। চারদিকে কটেজ আর মাঝখানে সুইমিং পুল। কনকনে ঠান্ডায় জমে গেলেও আপনার আলাদাই আনন্দ হবে এই পুলে গা ভাসাতে। রিসর্টের আশেপাশে গ্রামের রাস্তা ধরে হেঁটে আসুন। গিয়ে বসুন নদীর ধারে। রাতে করুন বনফায়ার।
কীভাবে আসবেন:
প্রথমে ট্রেনে এনজিপি বা প্লেনে বাগডোগরা। সেখান থেকে কার্শিয়াং হয়ে মার্গারেট হোপ চা বাগানের দিকে নেমে আসতে হবে খারাই রাস্তা ধরে। রাস্তার পাশেই বড় বড় করে ফলকে লেখা আছে মার্গারেট হোপ। সেই রাস্তা ধরে সোজা এসে ধাক্কা খান বেলতার রিভারসাইড রিসর্টে।
আরও পড়ুন: Homestay: পুরসভা দেবে ১ লক্ষ টাকা, কলকাতায় কীভাবে হোমস্টে চালু করবেন জানুন