মাথা চুলকাচ্ছে! এক একসময়ে মনে হচ্ছে চুলে উকুন বাসা বাঁধল না তো? কেশচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বর্ষাকালে নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের দাপট বাড়ে। ভাল করে চুল না শুকোলে মাথার ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে সারা ক্ষণ মাথায় অস্বস্তি হয়, চুলকায়। এই সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হতে পারে লেবুর রস।
খুশকি দূর করার আদি এবং অকৃত্রিম পন্থা হল লেবুর রস। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। যা মাতার ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ রুখে দিতে পারে।
স্ক্যাল্প অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। লেবুর রস মাখলে মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় থাকে। যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
অনেকের চুলের গোড়া থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসৃত হয়ে চুল তৈলাক্ত করে ফেলে। এই তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে লেবু।
চুল ঝলমলে করতে
একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। একটি আস্ত লেবুর রস মিশিয়ে তেলটি ফ্রিজে রাখুন। ঠাণ্ডা মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন চুল। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে চুল সিল্কি হবে।
আগা ফাটা রোধ করতে
লেবুর রস এবং জলপাই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের আগায় লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ৩ সপ্তাহে একবার করে করলে আগা ফাটবে না।
চুল পড়া কমাতে
লেবুর রস, ভিনেগার ও লবণের মিশ্রণ লাগান চুলে। চুল পড়া কমে যাবে।
কন্ডিশনার হিসেবে
লেবুর রস ও নারকেলের পানি সমপরিমাণ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন কন্ডিশনার হিসেবে। প্রাকৃতিকভাবে চুল ঝলমলে করবে এ মিশ্রণ
মাথার ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম জমলেও মুশকিল। লেবুর রস কিন্তু সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। চুলের জেল্লা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই উপাদানটি।
লেবুর রস চুলে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়। শ্যাম্পু করার পর জলের সঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসাবে মাখা যেতে পারে। আবার, নারকেল তেলের সঙ্গেও এই উপাদানটি মাখা যায়। তবে লেবুর রস যে হেতু অ্যাসিডধর্মী, তাই সরাসরি চুল বা মাথার ত্বকে না মাখাই ভাল।