কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মাসেই হরিয়ানার সূর্যকুণ্ডে সব কটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর হতে চলা দু’দিনের এই বৈঠকের পোশাকি নাম ‘চিন্তন শিবির’। নবান্ন সূত্রের খবর, ওই সময় ভাইফোঁটা থেকে ছটপুজোর মতো উৎসব-অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে যোগ দেবেন না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মতো অনেক মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব রয়েছে। সে কারণেই তাঁদের চিন্তন শিবিরের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-রাও ওই বৈঠকে যোগ দেবেন।সব ঠিক থাকলে নবান্নের সভাঘরে নভেম্বর মাসে এসে বৈঠক করতে পারেন অমিত শাহ। সেটা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে সীমান্ত সংক্রান্ত বৈঠক।
এদিন বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওঁর তো অবশ্যই যাওয়া উচিত। বাংলায় শাসনব্যবস্থার যা অবস্থা, সুরক্ষার যা অবস্থা, তাতে একটু গিয়ে দেখে আসা উচিত কীভাবে প্রশাসন চালাতে হয়। বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি। সব জঙ্গি সংস্থার এজেন্ট এখানে পাওয়া যাচ্ছে, গ্যাংস্টারদের হদিশ মিলছে। তাই বাংলায় প্রশাসনের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা উচিত।’
দিলীপের মন্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের সংবিধানে যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কথা বলে, তাতে এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতার দম্ভে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ভেঙে তছনছ করে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে, তার জন্যই অবাক হচ্ছি আমরা। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রেকর্ড অনুযায়ী, বাংলা দেশের সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য। কলকাতা দেশের নিরাপদতম শহর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত শাহের। যাতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি বাংলার মতো নিরাপদ হয়।’