5 tips to concentrate in Salah

জায়নামাযে দাঁড়ালেই নানা কথা মনে হয়, রইল নামাযে মনোযোগ বাড়ানোর পাঁচ উপায়

মুমিন জীবনের অন্যতম একটি ইবাদত হলো সালাত বা নামাজ। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ সালাত এবং কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম বিচার ফয়সালা হবে সালাতের মাধ্যমে। রাসূল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে। (তিরমিজি)

দৈনন্দিন জীবনে সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে বিঘ্নতা, অলসতা ও নানা ধরনের চিন্তার সম্মুখীন হয় আমরা । এর প্রধান কারণ সালাতে একনিষ্ঠতা, মনোযোগ না থাকা।

একনিষ্ঠ ছাড়া সালাত কখনো আল্লাহ কবুল করবেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা একনিষ্ঠতার সঙ্গে আমার ইবাদত কর। (সুরা বাইয়্যিনা-৫)

দেখুন সালাতে পূর্ণাঙ্গ মনোযোগের পাঁচটি উপায়

  1. সালাতে যখন দাঁড়াবেন তখন মনে করবেন, এই নামাযই আপনার শেষ নামায হতে পারে।হয়ত আল্লাহকে নিবিষ্ট মনে ডাকার আর কোনো সুযোগ নাও আস্তে পারে। মনে করুন এটাই আপনার বিদায়ী নামায। রাসূল (সা.) বলেছেন, যখন তুমি সালাতে দাঁড়াও তখন তুমি বিদায়ী সালাত পড়। (মুসনাদে আহমদ)। হতে পারে এটি জীবনের শেষ নামায।
  2. নামায হল আল্লাহর সঙ্গে বান্দার অন্তরের সংযোগের মাধ্যম। সালাতের মাধ্যমে গোলাম ও মনিবের সঙ্গে কথা বলে ।সেটা সচেতনভাবে করতে হবে। মনে করতে হবে মালিককে সব ফরিয়াদ জানালাম। মনিব যা ভালো বুজবেন তাই করবেন। মনিব নিশ্চই আম্মার ফরিয়াদ শুনলেন, আমার জন্যে ইহজগতে কিংবা পরজগতে যা কল্যাণকর তাই তিনি করবেন। আল্লাহ ও বান্দার কথোপকথনকে মনে হতে পারে একপাক্ষিক। কিন্তু আল্লাহ সমস্ত বিষয়ে ওয়াকিবহাল।বান্দা যখন বলে, সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি এই বিশ্বজগতের মালিক। তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার প্রশংসা আদায় করেছে। এভাবে প্রতিটি কথার উত্তর দিয়ে থাকেন। এই অনুভবটা অন্তরের মাধ্যে লালন করতে পারলে নামাজে মনোযোগ বৃদ্ধি হবে।
  3. সালাত মুমিন জীবনে সবরের (ধৈর্য) শিক্ষা দেয়। সালাত নম্র-ভদ্র হয়ে বিনয়ের সাথে আদায় করতে হয়।আল্লাহতায়ালা বলেন, মুমিনরা তাদের সালাতে বিনয়ী অবলম্বন করে। (সুরা মুমিনুন-০২)

    যত্নসহকারে সালাত আদায় না করলে সালাতে মনোযোগ সাধন হবে না। কেরাত, রুকু ও সেজদায় ধীরস্থিরতা অবলম্বন করতে হবে।

    রাসূল (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর ওই ব্যক্তি যে, ধীরস্থিরভাবে নামাজ পড়ে না ও রুকু সেজদায় দেরি করে না। (তীবরানি)

    তাসবিহ তাহলিলগুলো অর্থসহ জানার মাধ্যমে ধীরস্থিরভাবে সালাত আদায় করতে হবে; যার ফলে মনোযোগ অন্যদিকে ঝুঁকে পড়ার সুযোগ থাকবে না।

  4. আল্লাহতায়ালা সবসময় আমাদের দিকে নজর রাখেন কিন্তু দুনিয়ার চোখ দিয়ে তাঁকে দেখা সম্ভব না।
    সালাতের ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। (বুখারি, মুসলিম)আল্লাহর সামনে যখন মাথানত করতে হয় তখন এই ভয়ে করতে হবে তিনি যেন আমাকে দেখতে পাচ্ছেন।পৃথিবীর সব চোখ এড়ানো যায় কিন্তু আল্লাহর চোখ কখনো এড়ানো সম্ভব নয়। বান্দা যখন সেজদা দেয় তখন আল্লাহর কুদরতি পায়ের উপরে সিজদা দেয়।

    সুতরাং এক্ষেত্রে খুবই সজাগ থাকতে হবে। এই অনুভব লালন করতে পারলে ভয় বৃদ্ধি পাবে ও পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ সাধন হবে।

  5. রাসূল (সা.)  যেভাবে নামাজ পড়তেন সাহাবায় কেরাম নিজ চোক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তাদের থেকে ধারাবাহিকভাবে আলেমরা শিক্ষা লাভ করেছেন।