অম্বুবাচী বহু চর্চিত একটি তিথি।তিথিটি গ্রামবাংলা শহর-নগরের বিধবা মহিলারা পালন করেন। প্রত্যেক বছরে আষাঢ় মাসে তিথিটি আসে। এই তিথিতে দেবী রজস্বলা হন বলে ধর্মবিশ্বাস।
পঞ্জিকামতে আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ অম্বুবাচী হয়। লোকবিশ্বাস, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী ঋতুময়ী হয় আর তখনই অম্বুবাচী পালন করা হয়। এ বছর অম্বুবাচী পড়ছে শনিবার ২২ জুন, বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই দিনটিই ৭ আষাঢ়। এদিন রাত ৬ টা ৩১ মিনিটে অম্বুবাচী শুরু। আর তা শেষ হবে ১০ আষাঢ় অর্থাৎ ২৫ মে রাত ১ টা গতে। অর্থাৎ, এর পর থেকে আর পালনী কিছু থাকছে না।
শাস্ত্র মতে এমন বহু কাজ রয়েছে যা অম্বুবাচী তিথিতে করতে বারণ করা হয়।
- অম্বুবাচীতে মূলত ফলাহার করার নিয়ম রয়েছে। বৈধব্যে থাকা অনেকেই এর আগে অম্বুবাচী তিথিতে ফলাহার করে থাকতেন।
- কথিত রয়েছে অম্বুবাচী তিথিতে কোনও মতেই পুড়িয়ে তৈরি করা কোনও রান্না খাওয়া ঠিক নয়। ফলে যে খাবার পুড়িয়ে তৈরি করা হয় সেই খাবার খাওয়া ঠিক হবে না এই সময়। এছাড়াও রান্না করে কোনও খাবার খাওয়ারও রীতি নেই।
- অসমের কামাখ্যায় অম্বুবাচী মেলার জন্য যে ভান্ডারা হয় সেখানে পটল, মুগডাল, কাঁচালঙ্কা, পনির, বিন, ঢ্যাঁড়স, সোয়াবিনের রান্নাকে ছাড় দেওয়া হয়। তবে মিশ্র তেল, কুমড়ো, শুকনো লঙ্কা, লঙ্কাগুঁড়ো সেখানে রাখা হয় না।
- অম্বুবাচীর সময় জমিবাড়ি কেনা বা বিবাহের মতো শুভ কাজ করতে নেই। এই সময় বিবাহের পাকা কথাও বলার নিয়ম নেই শাস্ত্র মতে।