কালীপুজো এবং দীপাবলির পর এ বার ভাইফোঁটার পর্ব। মহালয়ার পর থেকে যে শারদোৎসব শুরু হয়, তার শেষ লগ্নের সূচনা এই ভ্রাতৃদ্বিতীয়াতেই৷ কার্তিকের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা পালিত হয়. তবে ২০২৩ ভাইফোঁটা ১৪, নাকি ১৫ নভেম্বর, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
১৪ ও ১৫ নভেম্বর দুই দিনই ভাইফোঁটা পালন করা যাবে। পঞ্জিকা অনুযায়ী কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হচ্ছে ভাইফোঁটার তিথি। এই তিথি কখন পড়ছে, ও কখন পর্যন্ত থাকছে দেখা যাক। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি পড়ছে ১৪ নভেম্বর দুপির ২ টো ৩৬ মিনিটে। শেষ হবে ১৫ নভেম্বর ১ টা ৪৭ মিনিটে। এরই মাঝে রয়েছে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার শুভ মুহূর্ত। ফোঁটা দেওয়ার শুভ মুহূর্ত ১৪ নভেম্বর রয়েছে দুপুর ১ টা ১০ মিনিট থেকে ৩ টে ১৯ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়াও ১৫ নভেম্বর সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা ০৫ মিনিট পর্যন্ত রয়েছে এই সময়কাল।
ভাই-বোনের অটুটবন্ধনের একটি পবিত্র উত্সব ভাইফোঁটা। যমের কুনজর থেকে ভাইকে রক্ষা করার জন্যই এই আচার-অনুষ্ঠান। ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনার উদ্দেশ্যে বোনেরা নানান রীতি ও নিয়ম পালন করেন ফোঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এদিন ফোঁটা হিসেবে শুধু চন্দন নয়, থাকে কাজল, দইয়ের ফোঁটাও।
এছাড়াও আরও অনেক জিনিস রয়েছে। যা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় রাখতেই হয় বোনেদের। একটি থালার মধ্যে সাজানো মঙ্গলঘট। একটি তামা অথবা মাটির ঘট নিতে হবে। তাতে সিঁদুরের পাঁচটি ফোঁটা দিতে হবে।জল ভরে আম পাতায় সিঁদুর দিয়ে তাতে দিতে হবে হরতকি। ঘট তৈরি হয়ে গেলে থালায় নিতে হবে ধান, দূর্বা, সাদা চন্দন, লাল চন্দন, চুয়া রাখতে হবে।এটি দশকর্মা ভাণ্ডারে পাওয়া যায়, রাখতে হবে দই। ঘি, মধু, প্রদীপ, ধূপকাঠি, হলুদ, কাঁচা টাকা। দীপাবলির অমাবস্যা তিথিতে পেতে রাখা কাজল। নারকেল নাড়ু এবং জল।