বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে বুদ্ধ পূর্ণিমা দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমা তিথিতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন তথাগত সিদ্ধার্থ৷ শুধু জন্মগ্রহণই নয়৷ কথিত, বৈশাখী পূর্ণিমাতেই গৃহত্যাগ, তপস্যায় বুদ্ধত্ব প্রাপ্তি এবং মহাপরিনির্বাণ অর্থাৎ মৃত্যুও হয় তাঁর৷ এ বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা পড়েছে ৫ মে, শুক্রবার৷ বাংলা তারিখ অনুযায়ী ২১ বৈশাখ, ১৪৩০৷
আরও পড়ুন: Vastu Tips: বাড়িতে এই গাছ রাখলে সংসারে কোনওদিন অভাব থাকবে না
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ হবে ৪ মে বৃহস্পতিবার, রাত ১১টা ৪ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে। পূর্ণিমা তিথি থাকবে ৫ মে, শুক্রবার রাত ১০টা ৪৯ মিনিট ১৬ সেকেন্ড পর্যন্ত৷ এই দিনে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও। বুদ্ধপূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ ৫ মে রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হবে। যা শেষ হবে মধ্যরাত ১টায়। জেনে নিন এই পুণ্যতিথিতে কী করবেন, কী করবেন না।
- এই তিথিতে ভোরে ঘুম থেকে উঠে গঙ্গাস্নান সারতে পারলে খুব ভাল। বাড়ির চারদিকে ছিটিয়ে দিন গঙ্গাজল।
- বাড়ির চারদিকে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। সাজিয়ে তুলুন ফুল দিয়ে।
- বাড়ির প্রবেশদ্বার পরিষ্কার করে সেখানে গঙ্গাজল ছিটিয়ে হলুদ, কুমকুম দিয়ে স্বস্তিকা আঁকুন।
- এই শুভ তিথিতে দরিদ্রদের খাবার ও পোশাক দান করুন।
- বুদ্ধপূর্ণিমা তিথিতে তামসিক খাবার বলে পরিচিত সুরা বা মাংস খাবেন না।
হিন্দু ধর্মে যমরাজকে মৃত্যুর দেবতা মনে করা হয়। তাঁকে তুষ্ট করার জন্য এই তিথিতে উপবাস করা উচিত। নিয়ম মেনে যমের পুজো করুন। পুজোর পর কলসি, ভাড়, পাখা, ছাতা, ঘি, তরমুজ, শসা, চিনি, শাক, নুন ইত্যাদি গরমে উপযোগী জিনিস দান করলে আগামী জন্মে এর সুফল ভোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Astro Tips: বাঁশির এই সহজ টোটকায় রাতারাতি খুলবে ভাগ্য!