আগামিকাল, ১৩ জুলাই গুরু পূর্ণিমা পালিত হবে। এদিনই জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস। তাই এই দিনটি ব্যাস জয়ন্তী হিসেবেও পরিচিত। এ ছাড়াও আষাঢ় পূর্ণিমা, গুরু পূর্ণিমা, ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন কাল থেকে গুরুর বিশেষ মাহাত্ম্য স্বীকৃত হয়েছে। তাঁরাই আমাদের সঠিক পথ দেখিয়ে থাকেন। পাশাপাশি জ্যোতিষ শাস্ত্রে গুরুকে বিষ্ণু ও বৃহস্পতির রূপ মনে করা হয়। শাস্ত্র মতে কোনও জাতকের কোষ্ঠীতে বৃহস্পতি দুর্বল পরিস্থিতিতে থাকলে তাঁদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কোষ্ঠীতে বৃহস্পতির পরিস্থিতি মজবুত করার জন্য জ্যোতিষ শাস্ত্রে নানান উপায় সম্পর্কে জানানো হয়েছে। মনে করা হয় গুরু পূর্ণিমার দিনে এই উপায় করলে কোষ্ঠীতে উপস্থিত বৃহস্পতির দোষ দূর হয়।
বৃহস্পতি দোষ দূর করার উপায়
১. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী ব্যক্তির যদি কোনও গুরু না-থাকে, তা হলে তাঁরা বিষ্ণুকে নিজের গুরু মেনে এই পূর্ণিমায় তাঁর আরাধনা করতে পারেন। মনে করা হয় এর ফলে কোষ্ঠীতে উপস্থিত বৃহস্পতির অশুভ প্রভাব দূর হবে।
২. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কোষ্ঠীতে বৃহস্পতিকে মজবুত করার জন্য ওম বৃ বৃহস্পতয়ে নমঃ মন্ত্র জপ করা উচিত। বিশেষত বৃহস্পতিবার এই মন্ত্র জপ করলে সুফল পাবনে। গুরু পূর্ণিমা থেকে এই মন্ত্র জপ করার শুরু করতে পারেন। তার পর প্রতি বৃহস্পতিবার জপ করুন।
আরও পড়ুন: Astro Tips: প্রেমের জন্য এই সব রাশির একে অপরকে এড়িয়ে চলুন
৩. কোষ্ঠীতে বৃহস্পতির দোষ কম করা ও ভাগ্যোদয়ের জন্য গুরু পূর্ণিমার দিনে কোনও এক শুভক্ষণে পুরোহিতের মাধ্যমে গুরু যন্ত্র স্থাপন করুন। প্রতিদিন এই যন্ত্রের পুজো করবেন।
৪. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী ব্যবসায় লাগাতার লোকসান হতে থাকলে আষাঢ় গুরু পূর্ণিমার দিনে অসহায় ও দরিদ্র ব্যক্তিদের হলুদ রঙের অন্ন, পোশাক ও মিষ্টি দান করুন।
৫. কোনও ছাত্রের মনের মধ্যে পড়াশোনা সংক্রান্ত অবসাদ থাকলে বা অসাফল্যের ভয় থাকলে গুরু পূর্ণিমার দিনে গোরুর সেবা করুন। পাশাপাশি এদিন গীতা পাঠ করাও উত্তম।
আরও পড়ুন: Vastu Tips: বেডরুমে রাখুন রাধা-কৃষ্ণের ছবি, উপকারিতা জানলে অবাক হবেন