নবী দিবস পালন আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে । এই দিবস পালন নিয়ে মুসলিমরা অনেকেই দোলাচলে থাকেন । তবে এই দিনটিতে যাতে আমরা নবীর উপদেশ ও বাণী স্মরণ করতে পারি, তাতে সকলেই লাভবান হবো স্নেহ নেই । আসুন দেখে নিই মহানবীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ ও বাণী ।
জ্ঞানার্জন
রাতে ঘন্টাখানেক জ্ঞানচর্চা করা সারারাত জেগে (ইবাদতে মশগুল) থাকার চেয়ে উত্তম।
যে জ্ঞানের সন্ধানে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়। -তিরমিজি
আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল সে, যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করলো- অতঃপর তা ছড়িয়ে দিলো।
ভালো ব্যবহার
তোমার ভাইয়ের দিকে হাসি মুখে তাকানো একটি দান। -তিরমিজি
বিনয়
যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয়ী হয়, আল্লাহতায়ালা তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। -মিশকাত
আনুগত্য ও নেতৃত্ব
কারও এমন হুকুম মানা যাবে না, যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়। -সহিহ মুসলিম
প্রফুল্লতা
মনের প্রফুল্লতা আল্লাহর একটি অনুগ্রহ। -মিশকাত
ক্ষতিগ্রস্ত লোক
যার দু’টি দিন সমান গেলো- সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। -দায়লামি
এ হাদিসের মর্ম হলো- যে ব্যক্তি প্রতিদিন নিজেকে আগের দিনের চেয়ে এক ধাপ উন্নত কতে পারে না, কিছুটা এগিয়ে নিতে পারে না, সে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পিছিয়ে পড়ে।
ভালো মানুষ
তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ তারা, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। -ইবনে মাজাহ
প্রতারণা ও হিংসা-বিদ্বেষ
যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়। -সহিহ মুসলিম
সাবধান! তোমরা হিংসা করা থেকে আত্মরক্ষা করো। -আবু দাউদ
তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করো না, ঘৃণা বিদ্বেষ করো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। -সহিহ মুসলিম
তওবা
বান্দা যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তওবা করে, তখন আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। -সহিহ বোখারি
তওবা মানে ফিরে আসা। তওবা করার অর্থ হলো- অন্যায়, অপরাধ ও ভুল হয়ে গেলে তা স্বীকার করে সে জন্যে অনুশোচনা করা ও তা থেকে, ফিরে আসা এবং এমন কাজ আর কখনও না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া।