এবার হোলি বা দোল উৎসব পালিত হবে ১৭ মার্চ শনিবার, তবে তার আগেই হোলাষ্টক হয়। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি থেকে পূর্ণিমা তিথি অর্থাৎ হোলিকা দহন পর্যন্ত সময়কে হোলাষ্টক হিসেবে ধরা হয়। হোলিকা দহনের আট দিন আগে হোলাষ্টক বলা হয়। এবার হোলাষ্টক ১০ মার্চ থেকে শুরু হবে এবং ১৭ মার্চ অর্থাৎ হোলিকা দহন পর্যন্ত থাকবে।
হোলাষ্টক সম্পর্কে পুরাণ
হোলাষ্টক প্রধানত উত্তর ভারতীয় রাজ্য যেমন বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ইত্যাদিতে পালন করা হয়। দেশের সব জায়গায় এই রীতি অনুসরণ করা হয় না। পুরাণে কথিত আছে যে সতীর আত্মহননের পর মহাদেব ধ্যানে নিমগ্ন হন। পার্বতী মহাদেবের ধ্যান ভঙ্গ করতে না পেরে কামদেবের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কামদেব তাঁর প্রেম বান দিয়ে তপস্যারত শিবকে বিভ্রান্ত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ভুল দেওয়ালে কী আয়না লাগিয়েছেন? ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো ?
এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ হয়ে মহাদেব তাঁর তৃতীয় চক্ষু খুলে কামদেবকে ভষ্ম করে দেন। এই ঘটনার পর কামদেবের স্ত্রী রতি তাঁর স্বামীকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আট দিনের তপস্যা করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় খুশি হয়ে শিব কামদেবকে আবার জীবিত করেন। ৮ দিনের তপস্যার এই সময়কাল অশুভ বলে বিবেচিত হয়।
দ্বিতীয় কিংবদন্তি
অন্য একটি কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা হিরণ্যকশিপুর আদেশে হোলিকা আট দিন প্রহ্লাদের সাথে আগুনে বসেছিলেন, কিন্তু নবম দিনে প্রহ্লাদ বেঁচে গেলে এবং হোলিকা দগ্ধ হলে বিষ্ণু ভক্তরা রঙ্গোৎসব উদযাপন করেন। তাই আট দিনকে অশুভ মনে করা হয়। এই ঘটনার পরই হোলাষ্টক পালিত হয় বলে ধারণা।
হোলিকা দহন হোলাষ্টকের অষ্টম দিনে অর্থাৎ পূর্ণিমা তিথিতে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হোলিকা পোড়ানো হলে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Vastu Tips: শোওয়ার ঘরে লাল রং আপনার সংসারে অশান্তির কারণ! জানুন কোন রং ব্যবহার করা উচিত