জগন্নাথদেব ভোজনরসিক। তিনি খেতে ভালবাসেন। পুরীর মন্দিরে তিনি রোজ আহার করেন, এমনই বিশ্বাস। নিয়ম-নীতি-নিষ্ঠা মেনেই সেই ভোগ নিবেদন করা হয়। রথের দিন সেই আয়োজন হয় আরও এলাহি। রথযাত্রার সাত দিন ধরে নিষ্ঠা সহকারে ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথকে। একই রকমের ভোগ নিবেদন করা হয় বলরাম, সুভদ্রাকেও। সকাল থেকে রাত, প্রহরে প্রহরে হয় ভোগ নিবেদন।
মন্দিরের রান্নাঘরে সারা দিনই দেবতার পছন্দের হরেক রকমের রান্না হয়। মূলত দু’ধরনের ভোগ তৈরি হয়। এক দিকে ভাত, ডাল, তরিতরকারি, পায়েস, ক্ষীর। অন্য দিকে মুড়ি, মুড়কি, খই ও নানা ধরনের শুকনো মিষ্টি ও মালপোয়া। জগন্নাথের পছন্দের ৫৬ ভোগে থাকে পাঁচ রকমের ভাত, পাঁচ রকমের ডাল, শুক্তো, বিভিন্ন রকম সব্জি দিয়ে তরকারি, বেগুনের মরিচপানি, নারকেল বাটা দিয়ে হরেক রকম চাটনি। পরমান্নও থাকে কয়েক রকমের।
আগে মহাপ্রসাদের একটি থালির মূল্য ছিল ২৫০ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকা। এই মহাপ্রসাদের থালায় থাকে ভাত, ডাল, সবজি। এর সঙ্গে মহাপ্রসাদের থালায় মহুরা এবং ডালমা যুক্ত হলে, দাম দাঁড়ায় ৫০০ টাকা। জগন্নাথদেবের ৫৬ ভোগের থালায় থাকে পোলাও, চুরমাও। প্রসাদের বাক্সের দাম ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রদেবীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা। সুভদ্রদেবীর প্রসাদের বাক্সের দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে। এদিকে, ভগবান জগন্নাথের প্রসাদ বাক্স রয়েছে ১ হাজার, ২ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই রেট চার্ট বাড়িয়ে দেওয়া নিয়েও আলোচনা হয় শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে।