এবার থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ বিনামূল্যে ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হবে! সম্প্রতি রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন জানিয়েছেন, শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
প্রতিদিন অসংখ্য জগন্নাথ ভক্ত পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি। উৎসবের সময় এই সংখ্যাটা প্রতিদিন প্রায় দু’লাখের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। প্রশ্ন উঠছে, তাঁদের সকলকে বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ আদৌ সম্ভব? আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ জানিয়েছেন, যেহেতু পুরীর মন্দিরের মহাপ্রসাদ পেতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, সেই কারণেই “বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কি না, ভেবে দেখছে ওড়িশা সরকার।
রীতি অনুযায়ী জগন্নাথকে নিবেদন করা হয় যে মহাপ্রসাদ, তা বিক্রির জন্য নয়। যদিও সুয়ারা এবং মহাসুয়ারাদের তৈরি মহাপ্রসাদ মন্দিরের ভিতরেই আলাদা করে বিক্রি হয়ে থাকে। ভক্তদের সংখ্যা এবং মহাপ্রসাদের চাহিদার উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। মহাপ্রসাদের কাপের মূল্য ৯০ টাকা। খাজার জন্য আলাদা করে দাম ধার্য হয়। এ ছাড়াও আনন্দ বাজারে খাজা প্রসাদের বাক্সের দাম ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রদেবীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা। সুভদ্রদেবীর প্রসাদের বাক্সের দাম শুরু ১৫০ টাকা থেকে। এদিকে, ভগবান জগন্নাথের প্রসাদ বাক্স রয়েছে ১ হাজার, ২ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এর আগে মহাপ্রসাদের একটি থালির মূল্য ছিল ২৫০ টাকা। সেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবার থেকে ঠিক কীভাবে ভক্তদের বিনামূল্য প্রসাদ বিতরণ করা হবে, তা এখনও সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে সরকারের এই পরিকল্পনায় বেজায় খুশি ভক্তরা।