কালীঘাট মন্দিরের (Kalighat Temple) গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। ১১-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তবে খোলা থাকবে কালীঘাট মন্দির। বাইরে থেকে দর্শনের ব্যবস্থা থাকছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সময়ে শুধুমাত্র পালাদার ও সেবায়েতরা প্রয়োজনমতো কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহে নিত্যপুজোর কাজ করতে পারবেন।
বছরের শুরু, কল্পতরু উৎসব। ফলে ভিড়ের আনুমান ছিলই। ফলে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গত ১লা জানুয়ারিও কালীঘাটের মন্দির বন্ধ ছিল। কেবল গর্ভগৃহ নয়, সেবার সমগ্র কালীঘাট মন্দির চত্বরেই ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
২০২১-এর ডিসেম্বরের শেষ থেকে গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বেড়েছে বাংলায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর প্রায় অর্ধেক আক্রান্তই কলকাতায়। মহানগরীর দৈনিক সংক্রমণ চাপে রেখেছে রাজ্য প্রশাসনকেও। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে বেলুড় মঠ সহ একাধিক মন্দিরের দরজা আগেই বন্ধ হয়েছে। এ বার কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষও গর্ভগৃহ বন্ধ করে দিল। গর্ভগৃহে সামনে ভিড় থেকে ভক্তদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হতে গত ২২ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয় কালীঘাট মন্দির। প্রথমে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকলেও পরে তা বিকেলে ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি পাননি ভক্তরা।
তারপর মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল যে, মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও ভক্তদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া ভক্তরাই গর্ভগৃহে প্রবেশের ছাড়পত্র পান।