রাত পেরোলেই লক্ষ্মী পুজো। পঞ্জিকা মতে, শনিবার রাত ৩টে ৩০ থেকে শুরু হবে পূর্ণিমা তিথি। তিথি থাকবে রবিবার রাত ২টো ৩০ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যেই বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা যাবে।তবে মায়ের কৃপাদৃষ্টি পেতে গেলে ওই দিন কয়েকটি কাজ করা বাঞ্ছনীয়। যা করলে স্বয়ং মা লক্ষ্মী অত্যন্ত খুশি হন। হিন্দু ধর্ম অনুসারে মা লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি নারায়ণের পত্নী। বিশ্বাস করা হয় যে মা লক্ষ্মী যে বাড়িতে বসবাস করেন, সেখানে অর্থের অভাব থাকে না। জেনে নিন লক্ষ্মী পুজোর দিন কোন কোন কাজ অবশ্যই করা উচিত।
পায়েসান্ন রান্না করে চাঁদের আলোয় রাখুন: দেবী লক্ষ্মী হলেন রজগুণের প্রতীক। সংসারে জীবন ধারণ করার জন্য এই রজগুণের বিশেষ সমাদর রয়েছে শাস্ত্রে। আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির জন্য কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন পায়েসান্ন তৈরি করে তা সন্ধেবেলায় চাঁদের আলোয় রাখুন। প্রয়োজন হলে একটি নেট বা মশারির কাপড় দিয়ে সেই পায়েসান্ন ঢেকে রাখুন। পরের দিন ওই পায়েসান্ন বাড়ির সবাই মিলে খান। প্রথাগত বিশ্বাস অনুযায়ী, এতে শরীরও সুস্থ থাকে। এবং ঘরের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধিও হয়।
নারায়ণ পুজো: এই কোজাগরী পূর্ণিমায় মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে এই দিন লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে নারায়ণ পুজোও করা হয়ে থাকে। এতে সারা বছর দেবীর কৃপা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, এই দিনে পাঁচটি কুমারি মেয়েকে তাঁদের পছন্দ মতো কিছু উপহার দিলে দেবী প্রসন্ন হন।
লক্ষ্মীর পাঁচালী পড়ুন: লক্ষ্মী পুজোর দিন অবশ্যই লক্ষ্মী পাঁচালী পড়ুন। একই সঙ্গে ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। লক্ষ্মী পুজোর দিন বাড়িতে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ স্থাপন করলে বাড়ির মঙ্গল হয়।
কড়ি পুজো: লক্ষ্মী পুজোর দিন দেবীর পায়ের সামনে পাঁচটি কড়ি রেখে পুজো করান। পুজো শেষ হলে সেই কড়িগুলি ক্যাশবাক্সে বা অর্থ থাকে এমন জায়গায় রেখে দিন। এতে আর্থিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
তুলসী গাছের পুজো: হিন্দুধর্মে তুলসী গাছকে দেবী হিসেবে পুজো করা হয়। পুরাণে অনুযায়ী, যে বাড়িতে তুলসী গাছ রয়েছে এবং নিয়মিত তার পুজো করা হয়, সেই বাড়িতে কখনও শোকের ছায়া নামে না।