Mahalaya 2024: What is the cultural significance of Mahalaya and what happens on this day?

Mahalaya 2024 : মহালয়া কি, কেন পালন করা হয়, জানুন তার ইতিহাস?

কাশফুলের বনে হাওয়া লেগে ঢেউ খেলে যাচ্ছে। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। নীল আকাশের মাঝে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে যাচ্ছে। আর তো বেশি বাকি নেই পুজোর, তাইনা! মহালয়ার  দিন থেকেই তো শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষ, তাই মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আনন্দটা। একটা একটা করে দিন পার হয় পুজোর দিকে এগোনোর জন্য।

মহালয়ার দিন ভোরে মহিষাসুরমর্দ্দিনীর কাহিনী সবাইকে একেবারে মুগ্ধ করে দেয়। ভোরে রেডিও তে সেই গলা, যা না শুনে বাংলির পুজ শুরু হয় না।বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র । দুর্গাপুজোর আভাস মেলে মহিষাসুরমর্দিনীর এই বেতার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তাছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই দিনে রীতি নিয়ম মেনে দেবী দুর্গার চোখ আঁকা হয়।

যাকে চক্ষু দানও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন মহালয়া কি এবং এই মহালয়ার ইতিহাসটাই বা কি? সেই নিয়েই আলোচনা। মহালয়ার ইতিহাস ঠিক কি? মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে বাণীকুমার (বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য) মার্কেন্ডেয়- চণ্ডীর বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে একটি চম্পু (গদ্যপদ্যময় কাব্য) রচনা করেন। ১৯৩০ সালে। নাম দেন ‘বসন্তেশ্বরী’। ১৯৩০ সালে বাসন্তী পুজোর ষষ্ঠীতে আকাশবাণীতে প্রচারিত। সংগীত সংযােজনা পঙ্কজকুমার মল্লিক, ভাষ্য ও স্তোেত্র পাঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।

আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: দুর্গা পুজোয় জামা কিনুন রাশি অনুযায়ী জানুন কোন রং ভাগ্য বদলাবে আপনার

১৯৩১ সালে ‘বসন্তেশ্বরী’ রূপান্তরিত হয় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-তে। এবং বাসন্তী পুজোর সময় এটি সম্প্রচারিত না করে ১৯৩১ সালের শরৎকালে দুর্গাষষ্ঠীতে আকাশবাণীতে সম্প্রচারিত করা হয়। আবার ১৯৩২ সালে দুর্গাষষ্ঠী থেকে সরিয়ে কয়েকদিন আগে মহালয়ার ভোরে সম্প্রচার করা হয়। উল্লেখ্য, শিল্পীদের নিয়ে বীরেন্দ্রকুষ্ণ ভদ্র আকাশবাণীতে এক সময় সরাসরি (Live) অনুষ্ঠান করেছেন। ১৯৩২ সাল থেকে মহালয়ার ভোরে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত টানা চুয়াল্লিশ বছর টানা সম্প্রচার হয়। ১৯৭৬ সালের ২৩ সপ্টেম্বর, ধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তী রচিত, উত্তমকুমার, বসন্ত চৌধুরী-পার্থ ঘােষ কর্তৃক ভাষ্যপাঠ, শ্যামল গুপ্ত রচিত গান— লতা, আশা, হেমন্ত, সন্ধ্যা, মান্না- সর্বভারতীয় শিল্পী সমন্বিত অনুষ্ঠান ‘দেবীং দূর্গতিহারিণীম মহালয়ার ভোরে সম্প্রচারিত।

পরে শ্রোতাদের বিক্ষোভ এবং পত্রপত্রিকায় পাঠক ও বিদ্বজ্জনেরা সমালােচনা করায় ‘দেবীং দুর্গতি হারিণীম’ বন্ধ করে দিতে হয়। ওপর দিকে এই দিনটিকে হিন্দু মতে পিতৃপক্ষ বলা হয়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পিতৃপক্ষের শেষ দিন হল মহালায়া । তবে এই কাহিনীর কোন কোন জায়গায় ইন্দ্রের বদলে যমরাজ কে দেখা যায়। তাছাড়া হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী জীবিত কোন ব্যক্তির পূর্বের তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃ লোকে বাস করেন। আর এই পিতৃলোক স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করে।

আর এই লোকের শাসক হলেন ম্ৃত্যুর দেবতা যমরাজ। তিনি সদ্যমৃত ব্যক্তির আত্মাকে পিতৃলোক এ নিয়ে যান। তাছাড়া দেবালয় এ অসুরদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব হয়েছিল। মহিষাসুরমর্দিনী কিভাবে মহিষাসুর বধ করেছিলেন সেই ঘটনা এই দিনে তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: মহালয়ায় চতুর্গ্রহী যোগ, ৫ রাশির জীবনে আসবে প্রেম, মা দুর্গার কৃপায় হবে উন্নতি