প্রচলিত প্রবাদ- সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার৷ প্রবাদেই লুকিয়ে রয়েছে সাগর সঙ্গমে পুণ্য স্নানের মাহাত্ম্য৷ পৌরাণিক গল্প বলে, অযোধ্যার ঈক্ষাকু বংশের রাজা সগরের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া চুরি করেন দেবরাজ ইন্দ্র। তিনি ঘোড়াগুলি গঙ্গাসাগরে কপিল মুনি আশ্রমের পেছনে লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই ঘোড়া খুঁজতে গিয়েই কপিল মুনির রোষে পড়ে ভস্মীভূত হয়েছিলেন সগর রাজের ষাট হাজার জন ছেলে।
সন্তানদের ফিরে পেতেই রাজা সাগরের নাতি ভগীরথ দিনরাত এক করেই ভগবান শিবের আরাধনা করেন। ব্যক্ত করেন নিজের মনের কথা। এবং কপিল মুনির নির্দেশ মতই শঙ্খ বাজিয়ে মা গঙ্গাকে এই ধরিত্রীর বুকে নিয়ে আসেন তিনি। যেই দিন মহাদেবের জটা হতে মা গঙ্গা সাগরে মিলিত হন, সেইদিন ছিল মকর সংক্রান্তি, স্থানটি ছিল কপিল মুনির আশ্রম। আজও মানুষের মনে এমনও বিশ্বাস এই পুণ্যদিনে গঙ্গা এবং সাগরের সঙ্গমে স্নান করলেই নাকি সমস্ত খারাপ থেকে মুক্তি মেলে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বিয়ে করবেন ভাবছেন? আপনার জন্য রইল শুভ তারিখের তালিকা
মকর সংক্রান্তি অর্থাৎ সূর্যদেবের মকর রাশিতে অধিষ্ঠান। স্নান সেরে ভেজা কাপড়েই দান, ধ্যান এবং সূর্যপ্রণাম আসল নীয়মের মধ্যে পড়ে। এদিন শুধু গঙ্গাসাগর নয়- প্রয়াগ রাজে কুম্ভ, অর্থাৎ গঙ্গা যমুনা এবং সরস্বতীর মিলিত সঙ্গম, তথা জগন্নাথের দরবারে পুরীর সমুদ্রে স্নান করলেও পূণ্য বলেই ধরা হয়।
স্নান এবং দান এই উত্সবের প্রধান কর্তব্য৷ যিনি গঙ্গাসাগরে যেতে পারবেন না তিনি যেকোনও জলাশয়ে সাগরকে স্মরণ করে স্নান করবেন৷ এমনটাও বলে থাকেন শাস্ত্রজ্ঞরা। তাতেও একই ধরণের পূণ্যলাভ হবে বলে কথিত আছে ৷
আরও পড়ুন: 1176 Hare Krishna: গোটা ফেসবুকজুড়ে ‘১১৭৬ হরে কৃষ্ণ’! কী এই কথার অর্থ ?