বৈদিক ক্যালেন্ডার মতে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পিতৃপক্ষ। ১৫ দিন ধরে চলবে এই পক্ষ। আর পিতৃপক্ষের অবসানে আসবে দেবীপক্ষ। শাস্ত্র মতে মনে করা হয়, পূর্বপুরুষরা পিতৃপক্ষের সময়ে মর্ত্যে নেমে এসে তাঁদের বংশধরদের থেকে জল গ্রহণ করেন। এই বিশেষ সময়কালে বেশ কয়েকটি নিয়মও পালন করা হয় শাস্ত্র মতে।
১০ সেপ্টেম্বর থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হবে। আর ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া অমাবস্যায় তার অবসান হবে। পঞ্জিকা মতে, আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত পিতৃপক্ষ পালিত হয়। এই বছর মহালয়া পড়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর। মহালয়ার দিন নদীতে স্নান করে তর্পণ করে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার প্রথা প্রচলিত। দেখে নেওয়া যাক মহালয়ার আগে পর্যন্ত পিতৃপক্ষে কোন কোন নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।
- ভোজন উৎসর্গ- পূর্ব পুরুষের উদ্দেশে এই সময় কোনও খাবার উৎসর্গ করলে তা পরে কাক , গরু কুকুরকে খাইয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলিত। এছাড়াও এই সময়কালে ব্রাহ্মণ ভোজন খুব শুভ।
- বাসন- এই সময় পিতৃপুরুষের উদ্দেশে দেওয়া বাসনপত্র যেন লোহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে গৃহস্থে অকল্যাণ হয়। ফলে কাঁসা বা পিতলের পাত্রে পিতৃপুরুষেদর উদ্দেশে খাবার রাখার কথা বলছে শাস্ত্রমত।
- তুলসি পাতা- অনেকেই বলেন, পিতৃপক্ষের সময় তুলসী পাতা না খাওয়া উচিত। অনেকেই এই সময় তেল, সাবান ব্যবহার করেন না। মহালয়ায় নদীতে স্নান করে তারপর এই সমস্ত জিনিস ব্যবহারে বিশ্বাস রাখেন অনেকেই।
- শুভ কাজ করা হয় না- বলা হয় পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ করতে নেই। অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, বিয়ে, পৈতে সমস্ত দিক থেকেই এই সময়টি মোটেও ভালো নয়। ফলে এই সময় কোনও শুভ কাজ করা হয় না।।
- খাবার দান- পিতৃপক্ষের সময় কাউকে কিছু দান করা খুবই শুভ। ফলে এই সময় যদি কাউকে খাবার দান করেন, বা আপনার দরদার সামনে কোনও ভিক্ষুক আসেন তাহলে তাঁকে ফেরাবেন না। এই সময় দান খুবই ভালো উপায়।