পবিত্র শবে মেরাজ আজ শনিবার। ফারসি ‘শব’ অর্থ রাত এবং আরবি ‘মেরাজ’ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন। মহিমান্বিত এ রাতে দুনিয়া ও আখেরাতের মালিক আল্লাহতায়ালার হুকুমে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঊর্ধ্বলোকে গমনের সৌভাগ্য লাভ করেন। তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে একই রাতে দুনিয়ায় ফিরে আসেন। এ কারণেই রাতটি মুসলিমদের কাছে পবিত্র।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।
পবিত্র ধর্ম ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে। কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয়টি বা নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক বা ফরজ হয়।
ইসলামী চিন্তাবিদরা লাইলাতুল মেরাজকে এভাবে পালনের অনুমতি দেন না, গ্রহণও করেন না। কেননা ঠিক কত তারিখে মেরাজ ঘটেছিল তার কোনো নির্ধারিত বিবরণ পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে সাহাবাদের মধ্যেই মতভেদ ছিল। শুধু এতটুকু সঠিক করে বলা যায়, নবুয়তের দশম থেকে ত্রয়োদশ বছরের মধ্যে কোনো এক রাতে ঘটেছে মেরাজের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সত্য।
মেরাজ শেষে ফিরে রাসূল (সা.) যখন এ সম্পর্কে বলেন তখন সবার আগে তা আমি বিশ্বাস করি বলে হজরত আবু বকর (সা.) সত্যায়ন করেন। এ কারণে তিনি সেদিন সিদ্দিক উপাধি লাভ করেন।
৬২০ খ্রিস্টাব্দে পবিত্র এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহ তায়ালার খাস রহমতে প্রথমে মক্কা মুকাররমার কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দিস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা বণী ইসরাইলের শুরুতেই বলা হয়েছে, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করালেন, যার চতুর্দিকে আমার রহমত ঘিরে রেখেছেন-যেন আমি কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই।