আগামী ২৬ রজব তথা ২৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পালন করা হবে পবিত্র শবে মিরাজ।
নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)। পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা নজমের আয়াতে, তাফসিরে এবং সব হাদিস গ্রন্থে মিরাজের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে এ রাত অতি পবিত্র ও মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমত-বরকতে সমৃদ্ধ।
আরবি ভাষায় মিরাজ অর্থ হচ্ছে সিঁড়ি। আর ফার্সি ভাষায় এর অর্থ ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ। পবিত্র কুরআনে মক্কা মোয়াজ্জমা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণকে পবিত্র ‘ইসরা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Surrogacy and Islam: সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান গ্রহণ, জানুন ইসলাম কী বলে?
মুসলিম বিশ্বের কাছে এ রাতের তাৎপর্য অপরিসীম।পবিত্র এই রাতে হযরত জিবরাঈল (আ.)-এর সঙ্গে নবীজী প্রথমে বায়তুল্লাহ শরিফ থেকে বোরাকে চড়ে বায়তুল মুকাদ্দাস গমন করেন। সেখানে হযরত আদম (আ.)-সহ অন্যান্য নবীদের নিয়ে মহানবী (সা.) দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তারপর সেখান থেকে তিনি এই রাতেই সপ্তম আকাশ পেরিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হন। এরপর রফরফ নামক বাহনে চড়ে আল্লাহ প্রিয় হাবিব মহান প্রভুর অনুগ্রহে আরশে আজিমে পৌঁছেন।
আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ ও সরাসরি কথোপকথন শেষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন বিশ্বনবী। অন্য কোনো নবী এমন সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র এ রাতটি ‘শবে মিরাজ’ হিসেবে পালন করে থাকেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার, নফল নামাজ, মসজিদ, মাদরাসা, খানকা ও বাড়িতে মিলাদ এবং গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে থাকেন।
আরও পড়ুন: Meaning of Allah hu Akbar: জানুন ‘আল্লাহু আকবার’ – এর অর্থ, কেন দেওয়া হয় তাকবীর