হবু দম্পতি সম্পর্কে কার্ড (Wedding Card) থেকেই প্রথম ঝলক জানতে পারেন নিমন্ত্রিত অতিথিরা (Wedding Astrology)। তাই কার্ডকে ত্রুটিহীন করতে জেনে নিন কয়েকটি বাস্তু টিপস। বাস্তু অনুসারে এই নিয়মগুলি মেনে বিয়ের কার্ড তৈরি করলে হবু দম্পতির জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে থাকবে।
- আজকাল অনেকেই চেনা পরিচিত ওয়েডিং কার্ডের থেকে ডিজাইনার কার্ডের দিকে ঝুঁকছেন। তিনকোণা বা পাতার আকারে কার্ডও দেখা যাচ্ছে। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এই ধরনের কার্ডে মোটেও সায় দিচ্ছেন না। চিরাচরিত আয়তাকার বা বর্গাকার ওয়েডিং কার্ডই মঙ্গলজনক বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
- বিয়ের কার্ডে পাত্র-পাত্রীর ছবি দেওয়া বাস্তুমতে অশুভ তাই নয়, বিয়ে মিটে যাওয়ার পর সেই কার্ড এখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। ফেলে দেওয়া কার্ড থেকে ছবি নিয়ে কেউ অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে।
- কোনও অবস্থাতেই বিয়ের কার্ডে কালো এবং ধূসর রং ব্যবহার যেন না করা হয়। এই দুটি রং-ই বিয়ের ক্ষেত্রে অশুভ বলে বিবেচিত। এর ফলে বিবাহিত জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- বিয়ের কার্ডে অনেকে গনেশের ছবি ব্যবহার করেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন নৃত্যরত গনেশের ছবি যেন ব্যবহার না করা হয়। যে কোনও দেব-দেবীর নৃত্যরত ছবি জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: Chandra Grahan : অশুভ যোগ চন্দ্রগ্রহণে সাবধান থাকতে হবে এই ৩ রাশিকে!
- বিয়ের কার্ডে পারফিউমড কাগজ ব্যবহার করতে পারেন। চন্দন, গোলাপ, জুঁইফুলের সুগন্ধ অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে দেয়।
- বিয়ের কার্ডে কোন রং ব্যবহার করতে পারবেন, তা নিয়ে যদি মনে সংশয় থাকে তাহলে লাল বা মেরুন রং ব্যবহার করতে পারেন। এই দুটি রং বিয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শুভ।
- বিয়ের কার্ডে রাধা-কৃষ্ণের ছবি রাখবেন না। রাধা-কৃষ্ণ প্রেমের প্রতীক হলেও এঁদের জীবন যন্ত্রণা ও বিরহে ভরা।
- বিয়ের কার্ডের অবশ্যই স্বস্তিক চিহ্ন যেন থাকে। হিন্দু ধর্মমতে এই চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম। যে কোনও শুভ কাজের শুরুতে স্বস্তিক চিহ্ন অমঙ্গলকে দূর করে।
আরও পড়ুন: Dream: কোন কোন স্বপ্নের কথা কাউকে বলতে নেই