রোজার জন্য সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। যে ব্যক্তি তা ইচ্ছাকৃত না খায়, সে গোনাহগার নয়। এ কারণে যদি কেউ ফজরের পর জাগে এবং সেহরি খাওয়ার সময় না পায়, তাহলে তার জন্য রোজা রেখে নেওয়া জরুরি। এতে তার রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
সেহরি খাওয়া অবস্থায় ফজরের আজান হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। যথারীতি রোজা পালন করবেন। তবে সেহরির শেষ সময়ের পর ভুলক্রমে বা অনিচ্ছাকৃত পানাহার করায় রোজা ভঙ্গ হয়েছে বিধায় এই রোজাটি রমজানের পর পুনরায় কাজা করতে হবে।
কিন্তু আজান শোনার পরও যদি পানাহার বন্ধ না করেন, তাহলে কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে। কারণ, প্রথমে ভুলবশত খাওয়া হলেও পরে ইচ্ছাকৃত খাওয়ার দ্বারা রোজা ভঙ্গ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Shab e barat 2022 : আজ পবিত্র শবেবরাত, জানুন কীভাবে এল এই শবেবরাত
স্মর্তব্য, আজান কখনও সেহরির সময়ের মধ্যে দেওয়া হয় না; আজান ফজরের ওয়াক্ত হওয়ারও একটু পরে দেওয়া হয়। কারণ, সেহরির সময় বাকি থাকলে ফজরের ওয়াক্ত হয় না। আর ওয়াক্ত হওয়ার আগে আজান দিলে আজান আদায় হবে না।
মনে রাখতে হবে, আজান হলো ফজরের নামাজের জন্য, সেহরি খাওয়া বন্ধ করার জন্য নয়। তাই সেহরি এর আগেই বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, হাদিস শরিফে যে আজানের পরেও খাওয়ার কথা আছে, তা হলো তাহাজ্জুদের আজান; ফজরের আজান নয়। যা এখনও মক্কা ও মদিনায় প্রচলিত আছে।
আরও পড়ুন: Ramadan Preparations 2022: রোজার আগেই যেসব প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি